খুলনার দৃষ্টিনন্দন খান জাহান আলী সেতু

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলা খুলনায় অবস্থিত একটি নদী রূপসা। এই নদীটির জন্ম হয়েছে ভৈরব এবং আত্রাই নদীর মিলনের ফলে। বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় রূপসা নদীটি খুলনা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে এবং পশুর নদীর মাধ্যমে মংলা চ্যানেলে বঙ্গোপসাগরে যুক্ত হয়েছে। এক সময় এই রূপসা নদীটি ছিল খুবই ছোট একটি খনন করা খাল। রূপচাঁদ সাহার কাটা খালটি এখন বিশাল রূপসা নদী।

রূপসা নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু খান জাহান আলী সেতু। এটি রূপসা সেতু নামেও পরিচিত। খুলনা শহরের রূপসা থেকে ব্রিজের দূরত্ব ৪.৮০ কি.মি। খান জাহান আলী সেতুর দৈর্ঘ্য ১.৬ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৬ মিটার। ২০০৫ সালের ১ মে সেতুটি সবার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

সেতুটি খুলনা এবং বাগেরহাট জেলাকে সংযুক্ত করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই সেতুটিকে খুলনার সড়ক যোগাযোগের প্রবেশ ধারও বলা হয়। এই সেতুটি খুলনা ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে সংযোগ করেছে।

এই সেতুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো দুই প্রান্তে দুটি করে মোট চারটি সিঁড়ি রয়েছে যার সাহায্যে মূল সেতুতে উঠা যায়। প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী সেতুটি পরিদর্শন করতে আসেন।

রাতে খান জাহান আলী সেতুটি সৌন্দর্যে ভিন্নরূপে সাজে। এই সেতুটিতে পথচারী ও যানবাহনের জন্য ভিন্ন লেন রয়েছে। এটি খুলনার একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। রাতে সেতুর উপর থেকে খুলনা শহরকে অপূর্ব সুন্দর মনে হয়। উৎসবের দিনগুলোতে এই সেতুতে তরুণ-তরুণী ও দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম পরিরক্ষিত হয়।

যেভাবে যাওয়া যায়:

খুলনা শহর থেকে যে কোন যানবাহনে খান জাহান আলী সেতু-তে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে সরাসরি সড়কপথে খুলনায় যেতে পারবেন। ঢাকা ও খুলনার মধ্যে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে- হানিফ এন্টারপ্রাইজ, গ্রিন লাইন, ঈগল পরিবহন ইত্যাদি। ভাড়া শ্রেণিভেদে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা।

এছাড়া রেলযোগেও খুলনা যাওয়া যায়। এজন্য ঢাকা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস নামে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে।

থাকার সুবিধা:

থাকার জন্য খুলনায় রয়েছে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল। তাদের মধ্যে কয়েকটি হলো- সিএসএস রেস্ট হাউজ (০৪১-৭২২৩৫৫), হোটেল ক্যাসেল সালাম (০৪১-৭৩০৭২৫), হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল (০৪১-৮১৩০৬৭-৯), প্ল্যাটিনাম জুট মিলস লিমিটেড রেস্ট হাউজ (০৪১-৭৬২৩৩৫), এলজিইডি রেস্ট হাউজ (০৪১৭২৩১৮৩)।

 

টাইমস/এসআর

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্মৃতির কঠিন সময়ে পাশে জেমাইমা, বিগ ব্যাশ ছেড়ে দেশে রয়ে গেলেন Dec 09, 2025
img
ভূমিকম্পে আটকে পড়লে কী করবেন? Dec 09, 2025
img
প্রথমবারের মতো ওমরাহ পালন করতে গেলেন জায়েদ খান Dec 09, 2025
img
নারী জাগরণের আলোক দিশারী বেগম রোকেয়া: তারেক রহমান Dec 09, 2025
img
খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে আরও অপেক্ষা করবে মেডিক্যাল বোর্ড Dec 09, 2025
img
নারী সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন বেগম রোকেয়া : প্রধান উপদেষ্টা Dec 09, 2025
img

সাবেক এমপি রুবেল

মানুষের দোয়ায় বেঁচে আছেন খালেদা জিয়া Dec 09, 2025
img
বেগম রোকেয়া দিবস আজ Dec 09, 2025
img
রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ধর্মকে ব্যবহার করছে জামায়াত : এনসিপি Dec 09, 2025
img
না ফেরার দেশে অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় Dec 09, 2025
img
মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় স্ট্রোক, হাসপাতালে প্রাণ গেল বক্তার Dec 09, 2025
img
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার দেখানো পথে তারেক রহমান : মুরাদ Dec 09, 2025
img
২০০ আসনে জিতলেও জাতীয় সরকার গঠন করবে জামায়াত : ডা. শফিকুর রহমান Dec 09, 2025
img
সুশান্তের কথা হঠাৎ মনে পড়ছে সারার Dec 09, 2025
img
রাজনীতিতে নানা জোট-মহাজোট হচ্ছে, আমরা স্বাগত জানাই: রেজাউল করীম Dec 08, 2025
img
এবার ‘তৃণমূল এনসিপি’ গঠনের উদ্যোগ Dec 08, 2025
img
সমঝোতার ভিত্তিতে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে জামায়াত : ড. হামিদুর Dec 08, 2025
img
সিলেটের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা Dec 08, 2025
img
ট্রাইব্যুনালে ফজলুর রহমান: আমার জীবনে আর এ রকম হয়নি, ক্ষমা চাই Dec 08, 2025
img
জাপানে সুনামির আশঙ্কায় বাসিন্দাদের উপকূল ছাড়ার নির্দেশ Dec 08, 2025