আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণার খসড়া রচনায়ও তার অবদান রয়েছে। আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলনে ছিলেন অগ্রপথিক। যার সুবাদে ১৭৫৮ সালে তিনি ফ্রান্সে কমিশনার নিযুক্ত হন। বৃটেন এবং ফ্রান্সের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখায় তিনি ১৭৮৫ সালে বৃটেনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।
১৭৮৯ সালে তিনি জর্জ ওয়াশিংটনের অধীনে আমেরিকার প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৭৯৬ সালের নির্বাচনে বন্ধু থমাস জেফারসনকে পরাজিত করে আমেরিকার দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার প্রেসিডেন্সিকালে বৃটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধলে এ নিয়ে মার্কিন-ফ্রান্স সম্পর্কে অবনতি ঘটে।
এসময় উত্তেজনা দেখা দিলেও তিনি কোনরূপ যুদ্ধ ঘোষণা করেন নি। যদিও বিদেশি শক্তি ও সরকারের সমালোচকদের বিরুদ্ধে শরিক আইনের প্রয়োগ করলে তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। পরিণতিতে ১৮০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বন্ধু জেফারসনের কাছে পরাজিত হন এবং জেফারসন তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
তিনি ২৯ বছর বয়সে অ্যাবিগাইল স্মিথকে বিয়ে করেন এবং তাদের ছয়জন সন্তান ছিলো। রাষ্ট্রপতি পদ হারানোর পর তিনি খুব একান্তেই স্ত্রীর সাথে কুইন্সি শহরে থাকতেন। এসময় বন্ধু জেফারসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগও রাখতেন।
১৮২৬ সালের ৪ঠা জুলাই আমেরিকার ৫০তম স্বাধীনতা বার্ষিকিতে একই দিনে অ্যাডামস ও তাঁর বন্ধু জেফারসন মারা যান। মৃত্যুকালে তার শেষ কথাটি ছলো-“থমাস জেফারসন বেঁচে থাক”।
পরবর্তীতে তাঁরই পুত্র জন কুইন্সি অ্যাডামস আমেরিকার ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।