জন অ্যাডামস: আইনজীবী থেকে প্রেসিডেন্ট

মার্কিন মুল্লুকের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন অ্যাডামস (১৭৩৫-১৮২৬)। ১৭৩৫ সালের ৩০ অক্টোবর মেচাচুসেটস এর কুইন্সি শহরে তাঁর জন্ম। হার্ভার্ড থেকে ¯œাতকোত্তর করা অ্যাডামসের জীবনের লক্ষ্য শিক্ষকতা হলেও ১৭৫৮ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। এসময় বৃটিশ কর্তৃক প্রণীত স্ট্যাম্প অ্যাক্ট এর বিরোধিতা করে তিনি বেশ আলোচনায় চলে আসেন।

আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণার খসড়া রচনায়ও তার অবদান রয়েছে। আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলনে ছিলেন অগ্রপথিক। যার সুবাদে ১৭৫৮ সালে তিনি ফ্রান্সে কমিশনার নিযুক্ত হন। বৃটেন এবং ফ্রান্সের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখায় তিনি ১৭৮৫ সালে বৃটেনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।

১৭৮৯ সালে তিনি জর্জ ওয়াশিংটনের অধীনে আমেরিকার প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৭৯৬ সালের নির্বাচনে বন্ধু থমাস জেফারসনকে পরাজিত করে আমেরিকার দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার প্রেসিডেন্সিকালে বৃটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধলে এ নিয়ে মার্কিন-ফ্রান্স সম্পর্কে অবনতি ঘটে।

এসময় উত্তেজনা দেখা দিলেও তিনি কোনরূপ যুদ্ধ ঘোষণা করেন নি। যদিও বিদেশি শক্তি ও সরকারের সমালোচকদের বিরুদ্ধে শরিক আইনের প্রয়োগ করলে তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। পরিণতিতে ১৮০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বন্ধু জেফারসনের কাছে পরাজিত হন এবং জেফারসন তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

তিনি ২৯ বছর বয়সে অ্যাবিগাইল স্মিথকে বিয়ে করেন এবং তাদের ছয়জন সন্তান ছিলো। রাষ্ট্রপতি পদ হারানোর পর তিনি খুব একান্তেই স্ত্রীর সাথে কুইন্সি শহরে থাকতেন। এসময় বন্ধু জেফারসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগও রাখতেন।

১৮২৬ সালের ৪ঠা জুলাই আমেরিকার ৫০তম স্বাধীনতা বার্ষিকিতে একই দিনে অ্যাডামস ও তাঁর বন্ধু জেফারসন মারা যান। মৃত্যুকালে তার শেষ কথাটি ছলো-“থমাস জেফারসন বেঁচে থাক”।

পরবর্তীতে তাঁরই পুত্র জন কুইন্সি অ্যাডামস আমেরিকার ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দায়িত্বশীলতা-দেশপ্রেম জাতির অগ্রযাত্রার চালিকা শক্তি : সিনিয়র সচিব Oct 21, 2025
img
শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী ভাতা দিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি : শিক্ষা উপদেষ্টা Oct 21, 2025
img
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপির প্রতিনিধিদল Oct 21, 2025
img
ট্রাম্পের জন্য আধুনিক বলরুম তৈরি হচ্ছে Oct 21, 2025
img
সালমান খানের বাড়িতে যাতায়াত রয়েছে জয়ার Oct 21, 2025
img
উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট নিয়ে বিতর্ক থামছে না : গোলাম মাওলা রনি Oct 21, 2025
img
এয়ারপোর্টের আগুন ফ্যাসিস্ট হাসিনার নাশকতার অংশ : আমান Oct 21, 2025
img
বিমানবন্দরে ফায়ার সার্ভিস প্রবেশে বাধার অভিযোগে মুখ খুললেন বেবিচক Oct 21, 2025
img
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য খালাসের নির্দেশ কাস্টম হাউজের Oct 21, 2025
img
সিলেটে জামায়াত আমিরের গাড়িবহরে হামলা Oct 21, 2025
img
আইআরআই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপি Oct 21, 2025
img
রাজধানীতে ছাত্রলী‌গের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার Oct 21, 2025
img
এবার একীভূত হবে দুর্বল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোও! Oct 21, 2025
img
বাড়ল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা, প্রজ্ঞাপন শিগগির Oct 21, 2025
img
সিরিজ জয়ের মিশনে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ Oct 21, 2025
img
সিলেট নগরে রাস্তার পাশে ২৫ গজের মধ্যে গাড়ি রাখলেই দণ্ড Oct 21, 2025
img
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের Oct 21, 2025
img
বেনাপোল বন্দরে আজ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ Oct 21, 2025
img
হ্যাঁ বা না বলে ফাইল ছেড়ে দিন প্লিজ, প্রধান উপদেষ্টাকে সারজিসের অনুরোধ Oct 21, 2025
img
যেখানে আগুন লেগেছে সেটি কাস্টমস ও বিমানের আওতাধীন : বেবিচক চেয়ারম্যান Oct 21, 2025