ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ গেল এক বাংলাদেশির

উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছানোর চেষ্টার সময় এক বাংলাদেশি মারা গেছেন। সাগর পাড়ি দিতে যে নৌকায় তিনি চড়ে বসেছিলেন, সেটি লাম্পেদুসা পর্যন্ত পৌঁছালেও ওই বাংলাদেশি পৌঁছেছেন প্রাণহীন দেহে।

যাত্রাপথেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার নাম, পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সোমবার রাতে ইতালির লাম্পেদুসা উপকূলে আসা ১০ মিটার দীর্ঘ একটি নৌকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন দেশটির কোস্টগার্ড এবং ফিনান্সিয়াল পুলিশের সদস্যরা। ওই নৌকায় থাকা আরও ৫১ জন অভিবাসীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের ধারণা, সম্ভবত অভিবাসীবাহী নৌকাটির হাইড্রোকার্বন বা জ্বালানির বিষাক্ত ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কালা পিসানার মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলেই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

যেসব অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন মিসরীয়, বাংলাদেশি, ইরিত্রীয়, ইথিওপীয়, সিরীয় এবং সুদানের নাগরিকেরা। তাদের মধ্যে দু’জন নারী এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্কও আছেন।

সোমবার রাতে লাম্পেদুসার ফাভারোলো জেটিতে নামার পরপরই অভিবাসীরা জানান, উদ্ধারকারীরা আসার আগে তাদের একজন সঙ্গী সমুদ্রে পড়ে যান এবং তাকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের দক্ষিণ ইতালির ইমব্রিয়াকোলা জেলার অভিবাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতালি সরকারের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপের কারণে দেশটিতে ২০২৪ সাল থেকে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ২০২৪ সালের শুরু থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইতালিতে সমুদ্রপথে আসা অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৯৯৯ জন। কিন্তু এ বছরের একই সময়ে তা কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৬০ জন।

তবে ২০২৩ সালে একই সময়ে রেকর্ড এক লাখ ১৪ হাজার ৮৬৭ জন অভিবাসী এসেছিলেন। চলতি বছর আসা অভিবাসীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।১৩ হাজার ২৭১ জন বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছেছেন। এরপরই আছে ইরিত্রিয়া। দেশটির পাঁচ হাজার ৮১১ জন নাগরিক পৌঁছেছেন ইতালিতে। আর এরপরে আছে মিসর, পাকিস্তান, সুদান, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার নাম। ইনফোমাইগ্রেন্টস।

এমকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নেতা যখন পারফর্ম করে না, দল মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে : লিটন Sep 04, 2025
img
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির মতবিনিময় সভা ৯ সেপ্টেম্বর Sep 04, 2025
img
ভারত শুল্ক দিয়ে আমাদের হত্যা করেছে : ট্রাম্প Sep 04, 2025
img
অবশেষে রাতে নেপালে পৌঁছালেন জামালরা Sep 04, 2025
img
ব্যালট পেপার ছাপানোর ঘোষণা দেওয়া সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার Sep 03, 2025
img
পরাজয়ের মাঝেও ম্যাচসেরা বাংলাদেশি গোলরক্ষক Sep 03, 2025
img
তারেক রহমান আগামীর বাংলাদেশের কান্ডারি : ওবায়দুল হক Sep 03, 2025
img
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ গেল এক বাংলাদেশির Sep 03, 2025
img
নুর ঝুঁকিমুক্ত, শারীরিক অবস্থার উন্নতি: ঢামেক পরিচালক Sep 03, 2025
img
চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: রেজাউল করীম Sep 03, 2025
img
বন্যাবিধ্বস্ত পাঞ্জাবের জন্য মন কাঁদছে শাহরুখের! Sep 03, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কোনো চক্রান্ত করে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না: খোকন Sep 03, 2025
img
নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ৭ দফা দাবি চবি শিক্ষার্থীদের Sep 03, 2025
img
২০২৯-এর পরও জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা পেতে ফ্রান্সের সমর্থন চাইলেন উপদেষ্টা Sep 03, 2025
বিএনপি'র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে চরফ্যাশনে বর্ণাঢ্য র‌্যালি! Sep 03, 2025
img
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২ বিভাগ এক করে গেজেট প্রকাশ Sep 03, 2025
আপনারা কি হাসিনার পথ বেছে নিলেন?’ Sep 03, 2025
"মাদার অর্গানাইজেশনের ভিপি নয়, চাই ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি" Sep 03, 2025
মালয়েশিয়ায় ব্যাপক অভিযান, শত শত বাংলাদেশি গ্রেফতার Sep 03, 2025
হুমকিদাতা শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করল ঢাবি কর্তৃপক্ষ Sep 03, 2025