এশিয়া কাপের আগে শেষ প্রস্তুতির সুযোগ ছিল বাংলাদেশের নেদারল্যান্ডস সিরিজ। টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নিয়েছে লিটন দাসের দল। শেষ ম্যাচটি ছিল হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিতের। তবে সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে বৃষ্টি। এক দফায় ফ্লাড লাইটের সমস্যায় বন্ধ ছিল খেলা।
এরপর দুই দফা বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করতে পারেনি। তবে এ নিয়ে আক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশের। আগের ম্যাচের একাদশে ৫ পরিবর্তন এনে খেলতে নেমে ব্যাটিং করেছেন উপরের সারির ব্যাটারদের সবাই। শেষ ম্যাচেও হেসেছে অধিনায়ক লিটনের ব্যাট।
‘এমন না যে সবাইকেই প্রতিদিন ব্যাটিং করতে হবে’, টস বিতর্ক নিয়ে লিটন
দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪৫ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছেন লিটনই। শেষ ম্যাচে ৪৬ বলে ৭৩ রানের দারুণ এক খেলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সিরিজ শেষে লিটন খোলাসা করলেন কেন তার রান করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
অধিনায়ক রান না করলে দল মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
লিটন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'আমি উপভোগ করি (অধিনায়কত্ব), আর উপভোগ করি বলেই এই দায়িত্ব নিয়েছি। অবশ্যই আমাদের টানা বেশ কয়েকটি সিরিজে ভালো ক্রিকেট হয়েছে। আমি নিজেও পারফর্ম করছি, যা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একজন নেতা যখন পারফর্ম করতে পারেন না, তখন দল মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়ে।'
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে লিটন বলেন, 'সে দিক থেকে বলব, আমাদের দলের সবাই ভালো পারফর্ম করছে, আর আমারও একটি চ্যালেঞ্জ ছিল আমিও যেন সেই অবদান রাখতে পারি, যেন ভালো পারফর্ম করতে পারি। সে দিক থেকে আমি ভীষণ আনন্দিত যে আমি দলের একজন সদস্য হিসেবে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারছি।'
এ নিয়ে টানা তিন সিরিজে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন লিটন দাস। সব মিলিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে এশিয়া কাপে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের প্রস্তুতির জন্য সিলেটের বিকল্প ছিল না বলেই ধারণা লিটনের।
অনুশীলন করলে মিরপুরের মাঠেও সম্ভব। তবে ম্যাচ অনুশীলনের জন্য সিলেট দারুণ উপযোগী মনে করেন লিটন।
তিনি বলেন, 'আমরা জানি, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম তুলনামূলকভাবে বেশ ব্যাটিং-বান্ধব ভেন্যু। আউটফিল্ডও এখানে খুব ভালো। অন্যদিকে মিরপুরে সবাইকেই কিছুটা সংগ্রাম করতে হয় শুধু আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়রা নয়, বিদেশি খেলোয়াড়রাও এখানে খেলতে এসে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই সব ব্যাটসম্যানের জন্য সিলেট একটি ভালো বিকল্প, দারুণ একটি মাঠ। এখানে খেলা সত্যিই উপভোগ্য। আপনারা যারা এখানে থাকেন, তারাও পরিবেশ দেখে নিশ্চয়ই আনন্দ পান।'
এমকে/টিএ