বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশে যদি প্রকৃত সংস্কার আনতে হয় তাহলে প্রথমে প্রয়োজন মানসিক সংস্কার। শুধু সংবিধান পরিবর্তন বা এসআরও জারি করে স্থায়ী কোনো সমাধান সম্ভব নয় বরং জনগণের আস্থা অর্জনের দিকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় পরিষদের শপথ গ্রহণ ও কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনাদের (ডাক্তার) কাছে আমার একটা অনুরোধ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাস্তা-ঘাটে মব, জ্যাম তৈরি করলে গণতন্ত্র আসবে না।
একজন গর্ভবতী মহিলা বা মা, তার সন্তানটা যতক্ষণ পর্যন্ত ভূমিষ্ঠ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সে আশঙ্কায় থাকে। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন না হবে ফলাফল ঘোষণা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত জনগণের মধ্যে আশঙ্কা কাজ করবে। আশঙ্কা কিভাবে সরকার দূর করবে সেটা তাদের ম্যাটার, আমাদের ম্যাটার না। তবে আমাদের একটা দায়িত্ব আছে তাদের এই আশঙ্কাটা দূর করে গণতান্ত্রিক পথে আনা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বর্তমান এই সরকার আপনাদের সমস্যা কানেও শোনেন না, চোখ দেখে না। কারণ তাদের জনগণের প্রতি কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তারা তো কোনো প্রিপারেশন নিয়ে আসে নাই। নির্বাচন নিয়ে যে যাই বলুক, ড. ইউনূসের আন্তরিকতার অভাব নেই।
নির্বাচন কমিশনেরও আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু তাদের সেই আন্তরিকতা পর্যাপ্ত নয়। এক্ষত্রে কিছু দায়িত্ব আছে। কারণ সরকারের ভেতরে সরকার আছে। প্রধান উপদেষ্টা কথা বলে একটা, ওনার পিএস বলে আরেকটা।
সে কারণে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে না তুলতে পারি। তাহলে কোনো ক্ষেত্রেই জবাবদিহিতা আসবে না। সুতরাং জবাবদিহিতাটা আমাদের খুব বেশি দরকার।
ইএ/টিকে