জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, আমরা আগে সরকারের অনেক কিছু অপছন্দ করি, কিন্তু কালো আইনগুলো খুব পছন্দ করি। কারণ সেগুলো আমি যখন-তখন যার-তার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারি। এই যে সন্ত্রাসবিরোধী আইন একটা কালো আইন, আমরা আগে বলেছি, সব সুশীলরা বলেছে। এখন সুশীলদের মন্ত্রিসভা হয়েছে, তারা সেটা প্রয়োগ করতেছে।
জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে গণ অধিকার পরিষদের দাবির প্রসঙ্গে মাসুদ কামাল বলেন, নিষিদ্ধের দাবি করতেই পারে, যেকোনো পলিটিক্যাল পার্টিরই সেই অধিকার আছে। আপনি কালকে বলতে পারেন -বিএনপিকে নিষিদ্ধ করো; বিএনপি এই এই কাজ করছে, এই কাজ আমার পছন্দ হয় না। বলতে পারেন আপনি। কিন্তু আমার কথা হলো নিষিদ্ধের তো একটা নিয়ম থাকবে।
আপনি কিভাবে নিষিদ্ধ করবেন, কোন প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করবেন, আইনটা কী? আপনি কি আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করবেন? আদালতের কাছে অভিযোগ নিয়ে যাবেন; আদালতের বিচার-বিবেচনা করে দেখবে। তারপর আদালত সিদ্ধান্ত দেবে, হ্যাঁ অথবা না। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কারণ আদালতের ওপর আমাদের ভরসা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার চাইলে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করতে পারে। এই নির্বাহী আদেশ একটা কালো আইন; আগে ছিল, এখনো আছে। আমরা আগের সরকারের অনেক কিছু অপছন্দ করি, কিন্তু কালো আইনগুলো খুব পছন্দ করি। কারণ সেগুলো আমি যখন-তখন যার-তার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারি। এই যে সন্ত্রাসবিরোধী আইন একটা কালো আইন, আমরা আগে বলেছি, সব সুশীলরা বলেছে।
এখন সুশীলদের মন্ত্রিসভা হয়েছে, তারা সেটা প্রয়োগ করতেছে।
তিনি বলেন, রাশেদ খান আজকে বলছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। আট দিন আগেও বলেছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। এইটা কি মামার বাড়ির আবদার? আদালতে যান, মামলা করেন। আপনি কেন নির্বাহী আদেশ চাচ্ছেন?
তিনি বলেন, নির্বাহী আদেশে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা আমি সমর্থন করি না। জামায়াতে ইসলামকে তিন তারিখে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, আমি সেদিনই বলেছি এটা সমর্থন করি না। আমি মনে করি, নির্বাহী আদেশে কোনো পলিটিক্যাল পার্টিকে নিষিদ্ধ করা উচিত না।
মাসুদ কামাল আরো বলেন, আমি জামাতকে নিষিদ্ধ সমর্থন করি না। এমনকি নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগ যে হীযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ করছিল আমি ওটাও সমর্থন করি না। তাদের নিষিদ্ধ করার কী কারণ ছিল? হীযবুত তাহরীর বিডিয়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করছিল। তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করছিল যে বিডিয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তৎকালীন সরকারের কেউ কেউ জড়িত আছে।
পিএ/টিএ