পাকিস্তানকে প্রবল বন্যার সতর্কতা দিলো ভারত

সাতলেজ নদীর পানি বৃদ্ধি এবং সামনে আরও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পাকিস্তানকে প্রবল বন্যার সতর্কতা দিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল। এরপ্রভাবে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।

এরমধ্যেই নতুন করে আবারও পাকিস্তানকে বন্যার সতর্কতা দিলো ভারত।

বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, রোববার (৭ জুন) ইসলামাবাদস্থ ভারতীয় হাইকমিশন পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে সাতলেজ নদীতে সম্ভাব্য প্রবল বন্যার ব্যাপারে অবহিত করে। সতর্কতায় বলা হয়, যেসব অঞ্চল ইতিমধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে সেগুলো আরও ডুবতে পারে।

আগে পাকিস্তানকে সিন্ধু নদ চুক্তির আওতায় বন্যার ব্যাপারে সতর্ক করত ভারত। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর সিন্ধু নদ চুক্তি থেকে সরে যায় নয়াদিল্লি। এরপর থেকে পাকিস্তানকে কূটনৈতিক মাধ্যমে বন্যার সতর্কতা দিচ্ছে ভারত।

পাকিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একটি সতর্কতা জারি করেছে। এতে আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা চালু, লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার তথ্য প্রচার এবং বাঁধগুলো আরও মজবুত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ মুলতান শহরটি সাতলেজ ও চেনাব নদীর মাঝে অবস্থিত, সেখানে বন্যার পানিতে অন্তত তিনটি বাঁধ ভেঙে গেছে, যার ফলে বহু গ্রাম ডুবে গেছে। এরমধ্যে পিরওয়ালা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে প্রবল স্রোতে ঘরবাড়ি, ফসলের জমি এবং ফসল ভেসে গেছে।

সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বাসিন্দারা কোমর সমান পানিতে দাঁড়িয়ে জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছেন, আর উদ্ধারকারীরা নৌকা ব্যবহার করে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যে মুলতানে একটি উদ্ধারকারী নৌকা ডুবে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক ইরফান আলী কাথিয়া আনাদোলুকে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র পাঞ্জাব প্রদেশেই ১৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং মোট ৪১ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জুন মাসের শেষ থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও বন্যায় পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ৯০৭ জন মারা গেছেন এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে পাঞ্জাবের কয়েকটি অংশে আরও একটি বড় ধরনের মৌসুমি বৃষ্টি শুরু হবে।

সূত্র: আনাদোলু

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৩ বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন সিইসি Dec 20, 2025
img
ছায়ানট-উদীচী-সংবাদমাধ্যমে হামলায় শিক্ষা উপদেষ্টার নিন্দা Dec 20, 2025
img
জরুরি সাংগঠনিক সভা ডেকেছে ছাত্রদল Dec 20, 2025
img
হাদিকে হত্যা একটি আদর্শকে থামিয়ে দেওয়ার পরিকল্পিত অপচেষ্টা : ঢাবি উপাচার্য Dec 20, 2025
img
ভাড়া বাড়ল ট্রেনের Dec 20, 2025
img
আমার মা বড় গোয়েন্দা: কোয়েল মল্লিক Dec 20, 2025
img
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা রোববার Dec 20, 2025
img
তফসিলের ২ বিষয়ে সংশোধনী এনে ইসির প্রজ্ঞাপন Dec 20, 2025
img
নওগাঁয় আওয়ামী লীগের ১৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Dec 20, 2025
img

ওসমান হাদি হত্যা

ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, শ্যালক সিপু ও বান্ধবী মারিয়া ফের ৪ দিনের রিমান্ডে Dec 20, 2025
img
বীর উত্তম এ কে খন্দকারের জানাজা রোববার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে Dec 20, 2025
img
দামী পোশাক নয়, আত্মবিশ্বাসেই আসল: কনীনিকা ব্যানার্জি Dec 20, 2025
img
ইনকিলাব মঞ্চের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম Dec 20, 2025
img
রিকশায় আক্রমণ হতে পারে, আগেই আশঙ্কা করেছিলেন হাদি Dec 20, 2025
img

‘হাদি, হাদি’ স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম Dec 20, 2025
img
জীবনের প্রথম পুরস্কার মা গৌরী খানকে উৎসর্গ করলেন আরিয়ান! Dec 20, 2025
img
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক আনিস আলমগীর Dec 20, 2025
img
ওসমান হাদিকে জার্সি উৎসর্গ রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের Dec 20, 2025
img
শহীদ ওসমান হাদির কবরে রোপণ করা হলো রক্তজবা গাছ Dec 20, 2025
img
কুমিল্লায় ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা শেষে প্রতীকী কফিন নিয়ে বিক্ষোভ Dec 20, 2025