ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভায় রবিবার ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর অনুষ্ঠান চলাকালীন ভবনধসে অন্তত তিনজন নিহত ও ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক দুর্যোগ কর্মকর্তা।
             
        
অধিকাংশ নারীসহ প্রায় ১০০ মানুষ পশ্চিম জাভার বোগর জেলায় এক কমিউনিটি হলে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। তখন হঠাৎ করে ভবনটি ধসে পড়ে বলে স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদম হামদানি জানিয়েছেন।
তিনি রবিবার এএফপিকে বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ৮৪ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তিনজন মারা গেছেন।
’ ভবনটি সভাকক্ষ ও উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহার করা হতো জানিয়ে আদম বলেন, ‘সম্ভবত ভবনের কাঠামো খুব মজবুত ছিল না। লোকজন নবীজির জন্মবার্ষিকী পালনে উৎসাহী হয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।’
তিনি আরো জানান, ভেতরে থাকা সবাইকে শনাক্ত করা গেছে। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, যাদের অধিকাংশেরই আঘাত ছিল সামান্য।
আদম প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, তখন বৃষ্টি হচ্ছিল না ও ভূমিধসের কোনো লক্ষণও দেখা যায়নি।
ইন্দোনেশিয়ায় দুর্বল নির্মাণমান ও ভবন নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে। ২০২২ সালে দক্ষিণ কালিমান্তানে তিনতলা একটি মিনি-মার্কেট ধসে পড়ে পাঁচজন নিহত হন। এর দুই বছর আগে জাকার্তায় পাঁচতলা একটি ভবনের আংশিক ধসে দুজন আহত হন।
২০১৮ সালে জাকার্তার পূর্বে চিরেবনে এক সংগীতানুষ্ঠানের মহড়ায় অংশ নেওয়া ভবন ধসে পড়ে সাতজন কিশোর-কিশোরী নিহত হয়। একই বছরে জাকার্তার ইন্দোনেশিয়া স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনের মেজানাইন ফ্লোর লবিতে ধসে পড়লে অন্তত ৭৫ জন আহত হয়েছিল।
এমআর/এসএন