পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সারজিস আলমের চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রতিবাদে জানিয়েছে উপজেলা বিএনপি। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে তেঁতুলিয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলন থেকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ সময় বিএনপি নেতারা বলেন, সম্প্রতি একটি শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন রঞ্জু এবং সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম শাহী সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সারজিস আলম উক্ত সভায় দাবি করেন- ভজনপুর এলাকায় পাথরবাহী প্রতিটি ট্রাক থেকে তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকদের নেতৃত্বে এক হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করা হতো। প্রতিদিন এভাবে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি করা হতো। এমনকি শ্রমিকদের পাওনা টাকার অংশ থেকেও চাঁদা নেওয়া হতো।
বিএনপি নেতারা এ অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেন। তারা জানান, ভজনপুর এলাকায় পাথর ও বালির মহাল সরকার ইজারা দিয়ে থাকে এবং ইজারাদাররা প্রতিটি ট্রাক থেকে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত সরকারি মাশুল উত্তোলন করেন। এ প্রক্রিয়ায় তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির কোনো নেতার সম্পৃক্ততা নেই।
বক্তারা বলেন, সারজিস আলমের এমন ভিত্তিহীন মন্তব্যের ফলে বিএনপি নেতাদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে মানহানি হয়েছে এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সারজিস আলমকে আহ্বান জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ মিয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক কাবুল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার আবু নোমান এনাম, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, পাথর-বালি ব্যবসায়ী যৌথ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হাসান লাবু, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ভজনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মকছেদ আলী, বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ প্রধানসহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এমকে/এসএন