শিবিরের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন তিন ভিপি প্রার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে সকাল থেকে স্বাভাবিক ভোটগ্রহণ চলছিল। এই ভোটগ্রহণ চলাকালীন শিবিরের ভোট কারচুপির প্রমাণ পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্যের ভিপি মনোনীত প্রার্থী উমামা ফাতেমা, ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম আবিদ ও বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের সমর্থিত প্রার্থী সহসভাপতি (ভিপি) পদে দাঁড়ানো তাহমিনা আক্তার।
তাহমিনা আক্তার এই অভিযোগে নিজের প্রার্থিতাও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
তাহমিনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘আগে থেকে শিবির প্রার্থীর পক্ষে পূরণ করা ব্যালট দিয়ে এবং বিভিন্ন কৌশলে জালিয়াতি করে তাদের প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য প্রহসনের ভোটগ্রহণ হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ ভূয়া নির্বাচন বর্জন ও বয়কট করলাম। শিবিরের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট ভিসি ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবার ওপর অনাস্থা জ্ঞাপন করে তাদের পদত্যাগ দাবি করছি এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
এর আগে উমামা ফাতেমা নিজের ফেসবুকে শিবিরের জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের ভোটকেন্দ্রের বাইরে এই লিফলেটগুলা দেওয়া হচ্ছে। যার এক প্রান্তে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীদের তালিকা আর অপর প্রান্তে হলের স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচন করা প্রার্থীদের তালিকা। গুঞ্জন শোনা গেছে এই লিস্টটি পোলিং বুথের ডেস্কের নিচে ছড়ানো আছে।’
এদিকে আবিদুল ইসলাম আবিদ বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে আমরা কারচুপির অভিযোগ পেয়েছি।
আমি নিজেও অমর একুশে হলের যে কেন্দ্র আছে, সেখানে গিয়েছি। প্রমাণ পেয়েছি। তাদের সঙ্গে খুব পোলাইটলি কথা বলেছি। তারাও বলেছে, হ্যাঁ, একটা ঘটনা ঘটে গেছে। রোকেয়া হলেও একই অবস্থা।
তারা বলছে, ঘটনা ঘটে গেছে।’
নির্বাচনে কারচুপির যে অভিযোগ, সেটির কারণে শঙ্কায় রয়েছেন জানিয়ে এই ভিপি প্রার্থী বলেন, ‘এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।’ এই বিষয়ে তারা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছেন বলে জানান আবিদুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘কারচুপির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। ছেড়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
এসএন