অমিত সাহা ও তোহা ৫ দিনের রিমান্ডে

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং এজাহারভুক্ত আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

শুক্রবার পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনসারী  ওই দুই শিক্ষার্থীর জামিন নাকচ করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অমিত সাহা বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক। বৃহস্পতিবার ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন গাজীপুরের মাওনা থেকে তোহাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে তার নাম আসার পরও মামলায় তার নাম না থাকা নিয়ে গত দুদিন ধরেই নানা আলোচনা চলছিল। তোহা এ হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র তোহাও ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত।

শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ। অন্যদিকে দুই বুয়েট ছাত্রের পক্ষে রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী মো. আইয়ুব হোসাইন।

শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে দুই আসামিকে ৫ দিন  করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

শুনানির পর অমিত আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নে দাবি করেন, ঘটনার দিন তিনি শাজাহানপুরে বন্ধুর বাসায় ছিলেন। আবরারকে পেটানো হবে বা মেরে ফেলা হবে- তা তিনি জানতেন না।

তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে গত রোববার রাতে ওই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ মামলায় এ নিয়ে মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আবরারকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন ইফতি

 

টাইমস/এসআই

 

 

Share this news on: