এখন থেকে প্রার্থীরা কাজ করলে নির্বাচনে কারচুপির প্রয়োজন হবে না: রুমিন ফারহানা

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, এখন থেকে যদি আমরা কাজ করতে থাকি, তাহলে নির্বাচনের আগে মানুষের যে জনপ্রিয়তা, মানুষের যে ভালোবাসা, মানুষের যে সমর্থন সেটাই ভোটের মাঠে আসল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। তখন আর ব্যালট বাক্স ভরা, ব্যালট চুরি করার প্রয়োজন হবে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে সড়ক ও সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রুমিন ফারহানা। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার শাহজাদপুরে সড়ক ও সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
 
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমি আমার নির্বাচনী কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমি আশা করবো যারা যারা প্রার্থী হয়েছেন, আগামী নির্বাচনে প্রত্যেকেই যেন তার এলাকায় কাজ শুরু করে দেন।‘
 
ডাকসু নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নির্বাচন। আর জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে বড় একটি বিষয়। জাতীয় নির্বাচনের সময় কেবল যে দেশের নজর থাকবে তা নয়। আন্তর্জাতিক নজরও বাংলাদেশের দিকে থাকবে।’
 
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশের একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, নির্বাচনটি সকলের জন্য অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে। সকলেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সমান সুযোগ পাবে। প্রচারণায় সমান সুযোগ পাবে। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে।’
 
আসন বিন্যাস প্রসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘নতুন দুটি ইউনিয়ন আসাতে কি কেউ হেরে যাওয়ার ভয় করছে। নতুন দুটি ইউনিয়নের ভোট কি কেউ পাবে না এমন মনে করছে ‘
 
তিনি বলেন, ‘আসলে এখানে কারও ব্যক্তির ব্যাপার নয়, মূলত দুই আসনের জনসংখ্যার পার্থক্য, ভৌগোলিক অবস্থা, যাতায়াত ব্যবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গণশুনানিতেতো আমি একা শুনানি করেছি। অন্য সাইডে যারা প্রতিপক্ষ তারা ১৪ জন ১৫ জন মিলে শুনানি করেছে, তাদের শুনানিতে যদি কোনো আইনি কোনো পয়েন্ট থাকতো, তাহলে তো তারা জিতে যেত। তারা তো জিততে পারল না।
 
এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জগন্নাথের ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে নৌকাডুবি Nov 07, 2025
img
নিজেদের ভাবনার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি: সন্দীপ্তা সেন Nov 07, 2025
পিতা মাতার প্রতি ছেলের কর্তব্য | ইসলামিক জ্ঞান | Nov 07, 2025
ফেলানি নিয়ে মুক্তি পেল জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় টিজার Nov 07, 2025
প্রস্তুত ইসি, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন Nov 07, 2025
আ.লীগ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বললেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ Nov 07, 2025
img
শ্বাসনালীর সংক্রমণে মাঠের বাইরে পাথিরানা Nov 07, 2025
img
মুক্তি পেয়েছে জাতীয় নির্বাচন-২০২৬ এর দ্বিতীয় টিজার Nov 07, 2025
img
থালাপতি বিজয়ের ‘জানা নায়াগন’ ৯ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি Nov 07, 2025
img
চট্টগ্রামে অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করল চসিক Nov 07, 2025
img
দল বাড়ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে Nov 07, 2025
img
ডেটিং অ্যাপ ‘হিংজ’-এর মাধ্যমে দুয়াজির সঙ্গে পরিচয় হয় মামদানির Nov 07, 2025
img
বিএনপি নেতা রিজভীর পা ধরে সালাম করা সেই পুলিশ ক্লোজড Nov 07, 2025
img
সাভারে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল এক বৃদ্ধের Nov 07, 2025
img
ইয়ামাল ও ফোরনালসকে দলে ফিরিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা স্পেনের Nov 07, 2025
img
রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে : সাইফুল হক Nov 07, 2025
img
কিছু দল ভোটের আগে ওয়াদা দিলেও পরে তা রাখে না : জামায়াত আমির Nov 07, 2025
img
'একে৬৫' সিনেমাতে অজিত ও লোকেশের সম্ভাব্য যুগলবন্দি Nov 07, 2025
img
দিয়াগো জোতার শেষকৃত্যে না যাওয়ার কারণ জানালেন পর্তুগিজ মহাতারকা রোনালদো Nov 07, 2025
img
গণ-অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে : মঞ্জু Nov 07, 2025