ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. মহিউদ্দীন খান বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, মহিউদ্দীন খান পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭২ ভোট। এজিএস হিসেবে বিজয়ী ঘোষিত হওয়ার পর মহিউদ্দীন খান নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন।
পোস্টের শুরুতে আলহামদুলিল্লাহ লিখে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের এই ঐতিহাসিক বিজয়কে তখনই পূর্ণ মনে করবো যেদিন আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলো পূর্ণ করতে পারবো। এই আমানতের রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের প্রথম অঙ্গীকার।’
বন্ধুর এই যাত্রায় সকল বাধা মাড়িয়ে সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে চান উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, ‘সমর্থন, পরামর্শ আর সমালোচনার মাধ্যমে আমাদের আপনারা পথ দেখাবেন সেই প্রত্যাশা রাখি।’
পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, ‘আল্লাহ আমাদের হঠকারী এবং অহংকারীতে পরিণত হওয়া থেকে পরিত্রাণ দান করুন, আমাদের পথকে মসৃণ করে দিন।’ তবে এরই মধ্যে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন আবিদুল এবং ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা। আব্দুল কাদেরও নির্বাচনের ব্যাপক সমালোচনা করে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসুর ভোটগ্রাহণ চলে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ডাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ চলে। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোটের বিপরীতে ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
ডাকসুতে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হয়েছে।
এসএস/এসএন