ভারতের বেঙ্গালুরুতে রেণুকাস্বামী খুনের মামলায় জেলে রয়েছেন কন্নড় অভিনেতা দর্শন থুগুদীপা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের সামনে হাজতবাসের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
বহু দিন সূর্যের আলো না দেখা, পোশাক থেকে দুর্গন্ধ আসা এবং হাতে ছত্রাক জন্ম নেওয়ার মত সমস্যার কথা বলে হতাশা প্রকাশ করেন এই অভিনেতা। এরপরই বিচারকের কাছে বিষ চেয়ে বসেন তিনি।
গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট দর্শন তার স্ত্রী পবিত্র গৌড়াসহ পাঁচ অভিযুক্তের জামিন বাতিল করে তাদের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, জেল থাকাকালীন অভিনেতা যেন কোনো বিশেষ সুবিধা না পান।
মঙ্গলবার সিটি সিভিল ও সেশনস কোর্টে মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই ভিডিও কনফারেন্সে দর্শন জানান, তাকে জেল থেকে বের হতে দেওয়া হয় না। দীর্ঘ সময় সূর্যের আলো না দেখার কারণে তার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
তার ব্যবহৃত পোশাক থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং তার হাতে ছত্রাক জন্মেছে। এই সমস্যার কথা বলার পরই তিনি বিচারকের কাছে অনুরোধ করেন, তাকে যেন বিষ দেওয়া হয়।
২০২৪ সালের জুন মাসে রেণুকাস্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে জানা যায়, রেণুকাস্বামী দর্শনের স্ত্রী পবিত্রাকে অশ্লীল মেসেজ পাঠিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন। এরপরই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান রেণুকাস্বামী এবং পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় পুলিশ দর্শন এবং তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ ওঠে, দর্শনের ভক্তরা রেণুকাস্বামীকে মারধর করে খুন করেছে।
যদিও এর আগে কর্ণাটক হাইকোর্ট দর্শনকে জামিন দিয়েছিল, কিন্তু গত মাসেই সেই রায় খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ জানায়, অভিযুক্তরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। জামিন পেলে তারা তদন্ত প্রভাবিত করতে পারে, তাই তাদের জেল হেফাজতেই রাখা উচিত।
এমকে/এসএন