বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ‘নদীভাঙন দেখা দিলে জায়গায় জায়গায় কিছু বালুর বস্তা ও ব্লক ফেলে। এতে নদী ভাঙন রোধে কোনো কিছু হয় না। এখানে দুর্নীতি এবং আত্মসাৎ এই ধরনের ঘটনা ঘটে। নদীভাঙনের শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে টঙ্গীবাড়ী, লৌহজং এবং মুন্সীগঞ্জের মানুষ।
দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন চলমান থাকলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় দিঘিরপাড় বাজারে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙনকবলিত এলাকায় নদীভাঙন রোধ, নদী শাসন ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘পদ্মা-মেঘনায় অবৈধ ও অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে এর প্রভাব পড়ছে নদীভাঙন এলাকায়। বাঁধ নির্মাণকাজ ধীরগতিতে চলায় ক্ষুব্ধ আমাদের এলাকাবাসী। ভবিষ্যতে আমরা সরকার গঠন করলে পদ্মাতীরে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের দাবি অন্তর্ভুক্ত করব।’
নদীভাঙনে এই জেলার যেসব মানুষ বসতবাড়ি হারিয়েছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়েছে তাদেরকে সরকারি জমিতে পুনর্বাসন করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে এক বছর ধরে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই। নির্বাচিত সরকার না থাকার কারণে মানুষের এই দুর্ভোগ উপশম করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এত মানুষ নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই জেলায় পানিসম্পদ উপদেষ্টা এখানে আসেননি। আসাটা ছিল তার দায়িত্ব।’ এ সময় তিনি অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, চাঁদাবাজি বন্ধ এবং মাদক নির্মূলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি আছে। এই কয়েক মাসে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র দেখা দেবে। নির্বাচনকে ব্যাহত করার নানা চেষ্টা করা হবে। ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রী মহল চাইবে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসে। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি যাতে নির্বাচিত হতে না পারে।’ এই চক্রান্ত প্রতিহত করার জন্য ইউনূস সরকার যে রোডম্যাপ ঘোষণা করছে তা বাতবায়নে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
দিঘিরপাড় বাজারের পদ্মা নদীর তীরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সর্বস্তরের জনগণের পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
ইউটি/টিএ