অস্থিরতা দমনে নেপালে চলছে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ

১০ সেপ্টেম্বর কাঠমাণ্ডুতে আরোপিত নিরাপত্তাব্যবস্থার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর কর্মীরা যাত্রীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করছেন।

প্রাণঘাতী বিক্ষোভের পর নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর রাস্তায় সেনারা টহল দিচ্ছে ও মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিচ্ছে। অনির্দিষ্টকালের কারফিউ চলাকালে বুধবার নেপালি সেনারা যানবাহন ও পথচারীদের তল্লাশি চালিয়েছে।

গণঅস্থিরতার সময় বিক্ষোভকারীদের একাধিক সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়া ও প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলিকে পদত্যাগে করতে বাধ্য করার পর রাজধানীকে ‘স্বাভাবিক’ করার প্রচেষ্টায় এই কারফিউ জারি করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধের পদক্ষেপ থেকে সূচিত বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৯ জন বিক্ষোভকারী নিহত ও শতাধিককে আহত হওয়ার পর সোমবার থেকে এটি সহিংস রূপ নেয়।

১০ হাজারেরও বেশি মানুষ সোমবার ও মঙ্গলবার কাঠমাণ্ডুর রাস্তায় নেমে আসে। এর পর পরই এই আন্দোলন দুর্নীতি ও বেকারত্ববিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়, যা গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতা।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রাজা রাম বাসনেত বলেন, ‘আমরা প্রথমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। জনগণের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তবে অলির পদত্যাগের পর সেনাবাহিনী ব্যারাক থেকে বেরিয়ে এলেও রাজধানীতে ক্ষোভ কমার বদলে আরো বেড়েছে।

বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে এবং সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতির বাড়ি ও কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে হামলা চালায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা নেপালি কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবা ও তার স্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্জু রানা দেউবাকে মারধর করছে।

গুলিতে আহত ২২ বছর বয়সী পবিত তান্দুকার বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলাম।

শুরুতে তারা আমাদের দিকে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করছিল, আমরা প্রতিরোধ করছিলাম। হঠাৎ আমাকে গুলি করা হলো।’

‘নেপো কিডস’ নামে অভিহিত শীর্ষ রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তানরা যখন টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে বিলাসবহুল জীবনযাপন প্রদর্শন করছে, তখন সাধারণ মানুষকে প্রায় ১১ শতাংশ বেকারত্বের হারের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। এর মধ্যে লাখো মানুষ কাজের সন্ধানে মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অভিবাসন করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে এই বিক্ষোভ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় যুব নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে সরকার পতনের নজির রয়েছে।

প্রতিবেশী চীন বুধবার এ অস্থিরতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, নেপালে থাকা চীনা নাগরিকদের ‘নিরাপত্তার দিকে গভীর মনোযোগ দেওয়া উচিত’ এবং বেইজিং আশা করে যে কাঠমাণ্ডু ‘ঘরোয়া সমস্যাগুলো সঠিকভাবে সমাধান করতে পারবে এবং দ্রুত সামাজিক শৃঙ্খলা ও জাতীয় স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে পারবে’।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কূটনৈতিক উদ্যোগ ও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মাধ্যমে নেপালে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছে চীন।

প্রাণঘাতী বিক্ষোভের পর নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর রাস্তায় সশস্ত্র সেনারা টহল দিচ্ছে ও মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিচ্ছে।

অনির্দিষ্টকালের কারফিউ চলাকালে বুধবার নেপালি সেনারা যানবাহন ও পথচারীদের তল্লাশি চালায়। গণঅস্থিরতার সময় বিক্ষোভকারীদের একাধিক সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলিকে পদত্যাগে করতে বাধ্য করার পর রাজধানীকে ‘স্বাভাবিক’ করার প্রচেষ্টায় এই কারফিউ জারি করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধের পদক্ষেপ থেকে সূচিত বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৯ জন বিক্ষোভকারী নিহত ও শতাধিককে আহত হওয়ার পর সোমবার থেকে এটি সহিংস রূপ নেয়। ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ সোমবার ও মঙ্গলবার কাঠমাণ্ডুর রাস্তায় নেমে আসে। এর পরপরই এই আন্দোলন দুর্নীতি ও বেকারত্ববিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়, যা গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতা।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রাজা রাম বাসনেত বলেন, ‘আমরা প্রথমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। জনগণের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তবে অলির পদত্যাগের পর সেনাবাহিনী ব্যারাক থেকে বেরিয়ে এলেও রাজধানীতে ক্ষোভ কমার বদলে আরো বেড়েছে।

বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে এবং সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতির বাড়ি ও কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে হামলা চালায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা নেপালি কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবা ও তার স্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্জু রানা দেউবাকে মারধর করছে।

গুলিতে আহত ২২ বছর বয়সী পবিত তান্দুকার বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলাম। শুরুতে তারা আমাদের দিকে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করছিল, আমরা প্রতিরোধ করছিলাম। হঠাৎ আমাকে গুলি করা হলো।’

‘নেপো কিডস’ নামে অভিহিত শীর্ষ রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তানরা যখন টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে বিলাসবহুল জীবনযাপন প্রদর্শন করছে, তখন সাধারণ মানুষকে প্রায় ১১ শতাংশ বেকারত্বের হারের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। এর মধ্যে লাখো মানুষ কাজের সন্ধানে মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অভিবাসন করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে এই বিক্ষোভ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় যুব নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে সরকার পতনের নজির রয়েছে।

প্রতিবেশী চীন বুধবার এ অস্থিরতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, নেপালে থাকা চীনা নাগরিকদের ‘নিরাপত্তার দিকে গভীর মনোযোগ দেওয়া উচিত’ এবং বেইজিং আশা করে যে কাঠমাণ্ডু ‘ঘরোয়া সমস্যাগুলো সঠিকভাবে সমাধান করতে পারবে এবং দ্রুত সামাজিক শৃঙ্খলা ও জাতীয় স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে পারবে’।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কূটনৈতিক উদ্যোগ ও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মাধ্যমে নেপালে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছে চীন।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিআইডব্লিউটি এর ২ কর্মকর্তা বরখাস্ত Sep 10, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক আগামীকাল Sep 10, 2025
img
১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা এস আলম ও সিকদার পরিবারের বিরুদ্ধে Sep 10, 2025
img
কলা কিনতে খরচ ৩৫ লাখ, কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ Sep 10, 2025
img
রোনালদোকে আদর্শ ধরে নিজেকে ‘পর্তুগিজ’ ভাবতেন এমবাপ্পে Sep 10, 2025
img
আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন Sep 10, 2025
img
সেপ্টেম্বরে প্রথম ৯ দিনে রেমিট্যান্স ১০২ কোটি ডলার Sep 10, 2025
img
ভারত-চীনের ওপর ১০০ শতাংশ করারোপে ইউরোপকে উস্কাচ্ছেন ট্রাম্প Sep 10, 2025
img
লাস্যময়ী অবতারে টলি অভিনেত্রী এনা সাহা Sep 10, 2025
img
শিল্পা-রাজ দম্পতির বিরুদ্ধে ‘লুকআউট’ নোটিশ জারি, জন্মদিনে জুটেছে পুলিশি জেরার চাপ Sep 10, 2025
img
নেপালে নিরাপদেই আছেন জামালরা, কালকের মধ্যেই দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা বাফুফের Sep 10, 2025
img
আসছে সুনেরাহ-নাঈমের নতুন রোম্যান্টিক ফিকশন Sep 10, 2025
img
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত ৭২ Sep 10, 2025
img
গণেশ লুঙ্গির আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিপ্লবী নয় : নিপুণ Sep 10, 2025
img
গভীর ষড়যন্ত্রের ফল হচ্ছে ডাকসু নির্বাচন : প্রিন্স Sep 10, 2025
img
মাহির সঙ্গে প্রেমের খবর ভুয়া বলে উড়িয়ে দিলেন জায়েদ খান Sep 10, 2025
img
ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোদির সঙ্গে কথা বলার অপেক্ষায় আছি: ট্রাম্প Sep 10, 2025
img
ডাকসু নির্বাচন জাতীয় ভোটে প্রতিফলন করবে না : মান্না Sep 10, 2025
img
জাকসু নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সেনাবাহিনী: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় Sep 10, 2025
img
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ Sep 10, 2025