যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত তাদের বাণিজ্যিক বাধা মোকাবেলায় আবারও আলোচনায় বসবে। নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প লেখেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক বাধা দূর করতে আলোচনাগুলো পুনরায় শুরু হয়েছে। আমি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলার অপেক্ষায় আছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এই দুই মহান দেশের জন্য একটি সফল সমাধানে পৌঁছাতে কোনো সমস্যা হবে না।”
এ ঘোষণা এমন এক সময় এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যার মধ্যে রাশিয়ান তেল কেনার ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানাও রয়েছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে হোয়াইট হাউজে এক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে একটি বিশেষ সম্পর্ক বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, তিনি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি সবসময় বন্ধু থাকবেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “চিন্তার কিছু নেই।”
তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সাম্প্রতিক কিছু কাজ নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেন।
এএনআই জানতে ট্রাম্পের কাছে জানতে চায়, আপনি কি এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে প্রস্তুত? জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি সবসময় প্রস্তুত থাকব। আমি সবসময় মোদির বন্ধু থাকব। তিনি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। আমি সবসময়ই বন্ধু থাকব, কিন্তু আমি শুধু পছন্দ করছি না তিনি এই মুহূর্তে যা করছেন। তবে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। শুধু কিছু মুহূর্ত আসে এমন।”
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে ‘ভারত ও রাশিয়া চীনের দিকে ঝুঁকছে’ বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তিনি মনে করেন না যে এমন কিছু ঘটেছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্যের উত্তরে বলেন, তিনি ট্রাম্পের অনুভূতি ও মূল্যায়নকে গভীরভাবে সম্মান করেন এবং পুরোপুরি সাড়া দেন।
এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে ভবিষ্যতমুখী ও বিস্তৃত এবং বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারত্ব বলে উল্লেখ করেন।
মোদি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুভূতি এবং আমাদের সম্পর্কের ইতিবাচক মূল্যায়নকে গভীরভাবে সম্মান করি এবং পুরোপুরি সাড়া জানাই। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি অত্যন্ত ইতিবাচক ও ভবিষ্যতমুখী বিস্তৃত ও বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।’
ইএ/টিকে