নেপালে সরকার পতন ভারতের জন্য খুশির কারণ। এমনকী এই অভ্যুত্থানে ভারতের সঙ্গে খুশি আওয়ামী লীগও। কারণ নেপালে চীন সমর্থিত সরকার পতনের মধ্য দিয়ে এখন নেতৃত্ব ভারতের হাতে চলে এসেছে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তায় রনি বলেন, ‘নেপালের সরকার পতনে ভারত তথা আওয়ামী লীগের জন্য খুশির সংবাদ। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার যে পতন, পালিয়ে যাওয়া, এসবের পেছনে যে চীনের বিরাট হাত রয়েছে আর বর্তমান যারা আছেন তাদের পেছনেও চীনের হাত রয়েছে এটা আমরা সবাই জানি। আর এই অবস্থাতে নেপালে চীনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত দীর্ঘমেয়াদী পার্টনার জনবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হলো। এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।
নেপালে যে অবস্থা ঘটেছে যাকে বলা হয় চীনের আর ওখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর কোনো পলিসি নেই। চীনের যে বিনিয়োগ এটা এবসলিউটলি একেবারে জিরোতে চলে আসবে। যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে এটা মূলত চীনের বিরুদ্ধে।’
রনি বলেন, ‘মূল ব্যাপারটা হলো ২০০৮ সাল থেকে এখানে একচেটিয়াভাবে এখানে চীনের কর্তৃত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এবং এই যে সরকারটির পতন হলো এটা একটি দলই ২০০৮ থেকে একেবারে পতনের আগ পর্যন্ত সরকার পরিচালনা করে আসছে। এই সরকার ঘন ঘন মানে ছয় মাস সাত মাস এক বছর পর পরই পরিবর্তন হতো কিন্তু দল ঠিকই আছে। কিন্তু সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে তারপরে প্রধানমন্ত্রী যিনি ছিলেন তার প্রতি অনস্থার কারণে ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন হতো কিন্তু পার্টি ছিল একটাই। তাই এই সবের প্রতি জনগণের ক্রোধ আর ক্ষোভ রয়ে গেছে তার সঙ্গে ভারত মদত দিচ্ছে।’
চীনপন্থি সরকারের পতনে এখন উৎসবের আমেজে ভারত, এমনটা উল্লেখ করে রনি বলেন, ‘চীনের বিরুদ্ধে যখন এই গণঅভ্যুত্থানটা হয়েছে আর এখন সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে পরবর্তীতে যারা সরকার প্রতিষ্ঠা করবে এরা সংগত কারণেই ভারতের মদতপুষ্ট হবে এবং দিল্লির মদতপুষ্ট হবে।
দিল্লির এই যে সফলতা, সেই সফলতায় বুঝতে পারেন যে এখন নরেন্দ্র মোদির কি পরিমাণ আমোদ হচ্ছে। বা এখানে যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা রয়েছেন অজিত দোভাল, এখন এই মুহূর্তে তারা কতটা গুড মুডে আছেন। আর এই ঘটনা যেভাবে আমি মূল্যায়ন করলাম, ভারতে যে সকল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ রয়েছেন তাদের তো অনেকের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আমার চেয়ে শত শত গুণ বেশি। তারা এই মূল্যায়ন নিজেরা যখন করছেন এবং এবং এই মুহূর্তে যখন দিল্লি এবং কলকাতা বা অন্যান্য মূল স্ট্রিমের যে সকল ভারতীয় মিডিয়া যেভাবে উল্লাস প্রকাশ করছে, এতে করে আওয়ামী লীগের লোকজনের মধ্যে কি পরিমাণ খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে এবং কেন- সেটাও আপনারা খুব সহজে অনুধাবন করতে পারছেন।
আর শেখ হাসিনার অবস্থা তিনি কি মুচকি হাসছেন নাকি অট্রহাসি দিচ্ছেন, নাকি কি করছেন এটা আপনারা যার যার রুচি অভিরুচি অনুযায়ী কল্পনা করে নিন।’
পিএ/এসএন