জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে শিবিরের কারচুপি ও ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হওয়ায় ছাত্রদল নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কইচাপুর ইউনিয়নের রুহিপাগাড়িয়া প্রাইমারি স্কুল মাঠে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রিন্স বলেন, শিবিরের কারচুপি ও ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হওয়ায় ছাত্রদল জাকসু নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু প্রহসনের বিপরীতে প্রতিকার না পেলে কারচুপি ও ষড়যন্ত্রের সাক্ষী গোপাল হয়ে থাকার দল ছাত্রদল নয়।
পরিকল্পিতভাবে প্রতিদিন ষড়যন্ত্র ও সংকট ঘনীভূত করা হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নস্যাৎ করতে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য, রাজনৈতিক হানাহানি এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করতে জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনের নামে প্রহসনের অয়োজন করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কয়েকজন উপদেষ্টা ও নবীন-প্রবীণ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং অরাজনৈতিক কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি জড়িত।
জনগণ নির্বাচনের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা বা নৈরাজ্য সহ্য করবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়া হবে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শাসন ও গণতন্ত্র ছাড়া দেশ চলবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতেই হবে, না হয় দেশ ও জাতির অভাবনীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ডাকসু নির্বাচন বিএনপির চোখ খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশপন্থিদের বিজয় ঠেকিয়ে দিতে ভারতপন্থি ও পাকিস্তানপন্থিদের অশুভ আঁতাত ধরা পড়ে গেছে। ’৭১- এর স্বাধীনতা ও ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অপশক্তি এক হয়ে সর্বনাশা খেলায় মেতে উঠেছে। ডাকসু নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে।
ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না জানিয়ে তিনি বলেন, হতাশার কিছু নেই। জনগণকে সঙ্গে রেখে জনগণকে সঙ্গে রেখে মনোবল অটুট রাখতে হবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে।
ইএ/টিএ