ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি চোরের খনি দিয়ে শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সবাই পায় সোনার খনি, তেলের খনি, আর আমি পেয়েছি চোরের খনি। ১৯৭৩ সালে ভোট চুরির মাধ্যমে নির্বাচন হয়েছে। ভোট চুরি দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির সূচনা। এরপর শুরু হয় সম্পদ লুটপাট। বাপ চোরের খনি আবিষ্কার করেছিলেন, আর মেয়ে হাসিনা ডাকাতের খনি আবিষ্কার করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর লিল্লাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, জনগণের টাকা, কৃষক-শ্রমিকের ঘাম ঝরানো অর্থ লুট করে ২৮ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। হাসিনার একজন পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে। কিন্তু এই ক্ষমতার স্বপ্ন দেশের জনগণ চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে।
সমাবেশে অধ্যাপক আশরাফ আলী আরও বলেন, আমরা তিনটি মৌলিক দাবিকে সামনে রেখে একত্রিত হয়েছি- রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, এবং পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন। ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদ ও এবি পার্টি এ দলগুলো একতাবদ্ধ হয়েছে। গত ৫৩ বছরে যাদের কারণে দেশে জঞ্জালের সৃষ্টি হয়েছে, যারা দেশকে একটি ‘জঙ্গল রাষ্ট্রে’ পরিণত করেছে, সেই জঙ্গল কেটে আমরা একটি সুখী, সমৃদ্ধ, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল লিল্লাহ মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মো. ইমরান হোসাইন নুর, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল কেএম বিল্লাল হোসাইন।
মাওলানা ইউসুফ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলা আমীর এসইউএম রুহুল আমীন ভূঁইয়া, সেক্রেটারী এআর হাফিজ উল্যাহ, ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি লোকমান হোসাইন, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি নুর মোহাম্মদ, ইসলামী আন্দোলনের জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি লোকমান হোসাইন, হেফাজতে ইসলাম জেলা প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, শ্রমিক আন্দোলন জেলা সভাপতি নাছির আহমেদ, যুব আন্দোলন জেলা সভাপতি মোখলেসুর রহমান ও ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহা. ইউনুস খাঁন।
কেএন/টিএ