আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে টপকে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন লিটন দাস। ক্যারিয়ার জুড়ে ১১১ ম্যাচে ৭৮ ছক্কায় এককভাবে এই তালিকায় এক নম্বর স্থান নিজের করে নেন এলকেডি। শুধু তাই নয়, এশিয়া কাপে হংকং ম্যাচে একাধিক রেকর্ডের মালিক হলেন তিনি। এই ফরম্যাটে টাইগারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় উঠে এসেছেন দুই নম্বরে।
তবে এমন অর্জনে রয়েছে ভিন্ন অভিজ্ঞতা। বছর দেড়েক ধরে আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রে ছিলেন লিটন কুমার দাস। এই সময়টায় নিজের ব্যাটও যেন করেছিল অভিমান। রানে না থাকায় একাধিকবার দল থেকেও হারাতে হয়েছিল তার জায়গা।
সেই লিটনই ফিরলেন ভিন্ন এক রূপে। সমালোচনার জবাব যেমন ডিফেন্স করলেন সতর্কতার সাথে, ঠিক তেমনি ব্যাট হাতে তৈরি করলেন নতুন মাইলফলক। এশিয়া কাপে হংকং ম্যাচে ৫৯ রানের ইনিংস খেলার পথে গড়লেন অনন্য এক কীর্তি। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর তালিকার শীর্ষে উঠলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
এই ম্যাচেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সর্বোচ্চ ৭৭ ওভার বাউন্ডারির রেকর্ড টপকে যান লিটন কুমার দাস। ১১১ ম্যাচ খেলে ৭৮ ছক্কায় এককভাবে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করলেন টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। আর ৭৭টি ছয় হাঁকাতে রিয়াদকে খেলতে হয়েছে ১৪১ ম্যাচ।
হংকং ম্যাচে কেবল এই কীর্তিতেই সন্তুষ্ট থাকেননি এলকেডি। নাম তুলেছেন একাধিক রেকর্ড বুকেও। টাইগারদের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রান সংগ্রাহকের তালিকায় দুই নম্বরে উঠে এসেছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। এখানেও মাহমুদউল্লাহকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। ২,৪৯৬ রান নিয়ে লিটনের সামনে আছে কেবল সাকিব আল হাসান।
সেই সাথে এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের দিক থেকেও দুই নম্বরে উঠে এসেছেন লিটন। পেছনে ফেলেছেন মোসাদ্দেক সৈকত ও সৌম্য সরকারকে। তার আগে আছেন ২০১৬ সালের আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮০ রান করেছিলেন সাব্বির রহমান।
ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডস সিরিজের ফর্ম এশিয়া কাপেও যেনো ধরে রেখেছেন লিটন। সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই অর্ধশতক হাঁকিয়ে সেই বার্তাই দিয়ে রাখলেন এলকেডি।
ইকে/এসএন