ভিসির পদ খালি, অর্থ সংকটে হচ্ছে না ভর্তি পরীক্ষা

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কটূক্তি করার অভিযোগে ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়েন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(ববি) তৎকালীন ভিসি ড. এস এম ইমামুল হক। মেয়াদ শেষ হওয়ার দেড় মাস আগে তিনি ছুটিতে যেতে বাধ্য হন। ২৫ জুন থেকে ভিসির রুটিন দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ কে এম মাহবুব হাসান।

টানা চার মাস উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালনের পর গত ৮ অক্টোবর তার ট্রেজারার পদের মেয়াদ শেষ। এরপর নিয়োগ হয়নি নতুন ট্রেজারার। রেজিস্ট্রার পদ শূন্য প্রায় এক বছর। ফলে ভিসির রুটিন দায়িত্ব পালন করার মতো পদাধিকার কেউ না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি এখন পুরোপুরি অভিভাবকহীন।

অন্যদিকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ পরীক্ষা গ্রহণের প্রধান হলেন ভিসি। এছাড়া ভর্তি ফরম বিক্রির প্রায় আড়াই কোটি টাকা জমা রয়েছে অ্যাকাউন্টে। তবে ওই টাকা উত্তোলনের এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছাড়া অন্য কারো নেই। এ কারণে পরীক্ষার ব্যয় মেটানোর অর্থ পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির কাছে না থাকায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ও ১৯ অক্টোবরের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষা পরিচালনার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি (কোর কমিটি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার তিনটি পদই শূন্য। এ অবস্থায় ১৮ ও ১৯ অক্টোবরের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরীক্ষা পরিচালনার ব্যয় অ্যাকাউন্টে জমা থাকলেও ওই টাকা উত্তোলনের এখতিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর ছাড়া অন্য কারও নেই। এ কারণে পরীক্ষা পরিচালনার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি (কোর কমিটি) এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

রোববার ববির পরীক্ষা পরিচালনার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটির (কোর কমিটি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. মুহসিন উদ্দীন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৮ ও ১৯ অক্টোবরের অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা অনিবার্য কারণে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার পুনঃনির্ধারিত তারিখ পরে যথা সময়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে।

 

টাইমস/এসআই

 

 

 

 

Share this news on: