আবরার হত্যা: ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার অমিত সাহা

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার দায়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।

সোমবার ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে এই তথ্য উঠে এসেছে যে, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথোপকথনের সময় উক্ত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।

তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অধিকতর তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় অমিত সাহাকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।’

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় অমিতের নাম নাম না থাকা নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল। পরে বৃহস্পতিবার রাজধানীর সবুজবাগে আত্মীয়র বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনসারী তার জামিন নাকচ করে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই যে ফেসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে শিবির সন্দেহে আবরারকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তা সংগঠনটির তদন্তে উঠে এলে ১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

বুয়েটের শেরেবাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর কক্ষে রোববার রাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালিয়ে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়, সেই কক্ষেরই আবাসিক ছাত্র অমিত।

সেদিন আবরারকে ওই কক্ষে ডেকে নেওয়ার আগে অমিত মেসেঞ্জারে আবরারের খোঁজ করেন তার এক সহপাঠীর কাছে, যার স্ক্রিনশট পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

গত সোমবার দিনভর বুয়েটে তদন্ত চালিয়ে ভিডিও ফুটেজ দেখে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গ্রেপ্তার করা হয় আরও নয়জনকে। এদের মধ্যে অমিতসহ চারজনের নাম আবরারের বাবার করা মামলার ১৯ আসামির তালিকায় ছিল না।

 

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ