সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে বলিউডের অনেক জনপ্রিয় গান ও নাচের ধাপ নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। ভাইরাল ডান্স চ্যালেঞ্জের হাত ধরে এসব গান ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের কোটি মানুষের কাছে। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিয়ের আসর, ইনস্টাগ্রাম রিল থেকে ইউটিউব—যেখানেই চোখ রাখা যায়, সেখানে ভেসে ওঠে এই নাচের উন্মাদনা।
ভিকি কৌশল ও ত্রিপ্তি দিম্রির গাওয়া ‘তৌবা তৌবা’ মুক্তির পরপরই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ গানকে ঘিরে শুরু হয় #তৌবা_তৌবা_চ্যালেঞ্জ। একেকজন একেকভাবে নাচে যোগ করে নিজের সৃজনশীল ছোঁয়া, আর তাতেই জমে ওঠে উৎসব।
অন্যদিকে শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোনের ‘লুঙ্গি ডান্স’ হয়ে ওঠে ব্যতিক্রমী এক চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তকে উৎসর্গ করা এ গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সারা ভারত জুড়ে মানুষ লুঙ্গি পরে নেচেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আড্ডা থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান, সর্বত্রই বাজতে থাকে গান আর দুলতে থাকে লুঙ্গি।
ক্যাটরিনা কাইফ ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার ‘কলা চশমা’ ছিল নিখাদ পার্টি সংগীত। কালো সানগ্লাস পরে নেচেছে অগণিত তরুণ-তরুণী। সামাজিক মাধ্যমে এক সময় ভেসে গিয়েছিল এ গানের নাচের ভিডিও।
ঋত্বিক রোশন ও বাণী কাপুরের ‘ঘুঙরু’, রণবীর সিং ও সারা আলি খানের ‘আঙ্খ মারে’, আয়ুশ শর্মা ও ওয়ারিনা হুসাইনের ‘চোগাডা’—সবগুলোই একে একে তৈরি করেছে নিজেদের নাচের ঢেউ। বিশেষ করে ‘ঘুঙরু’-এর ধাপ অনুকরণ করতে গিয়ে বহু ভক্ত চেষ্টা করেছেন ঋত্বিকের নিখুঁত নাচের সমান হতে।
নোরা ফাতেহির গানে যেন আলাদা এক আগুন। ‘কামরিয়া’, ‘ও সাকি সাকি’, কিংবা ‘দিলবার’—প্রতিটি গানে তাঁর পারফরম্যান্সই তৈরি করেছে বৈশ্বিক নাচের ঝড়। বিশেষ করে ‘দিলবার’-এর বেলিডান্সের অনুকরণে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ভিডিও।
এ ছাড়া সালমান খান ও দিশা পাটানির ‘স্লো মোশন’, টাইগার শ্রফ ও শ্রদ্ধা কাপুরের ‘দশ বহানে ২.০’, অক্ষয় কুমার ও কিয়ারা আডভানির ‘সৌদা খারা খারা’, এমনকি পাঞ্জাবি গায়ক জাস মানকের ‘লেহেঙ্গা’ও ছড়িয়ে পড়েছে বলিউড চ্যালেঞ্জ হিসেবে।
এই সব গানের মধ্যে একেকটি হয়ে উঠেছে উৎসবের রঙ, আবার একেকটি জন্ম দিয়েছে নিজস্ব নাচের ধারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোটি মানুষের অংশগ্রহণে সেসব গান কেবল সংগীতের সীমা ছাড়িয়ে এখন বিশ্বব্যাপী নাচের চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।