খুলনা বিভাগের আট জেলার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও মান নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী ৯টি টিমের অভিযানে ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অপরাধে মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানের সময় চাল, ভোজ্যতেল, গ্যাস, ওষুধ, ডায়াগনস্টিক সেবা, আলু, দেশি পেঁয়াজ, সবজি, মুরগি ও ডিমের বাজার তদারকি করা হয়। ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও ভাউচার সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
খুলনা মহানগরের খালিশপুর থানার নেভীগেট এলাকায় উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে দি ইডেন মার্টকে যথাযথ পণ্য সরবরাহ না করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকায় সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রামাণিকের নেতৃত্বে জসিম স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ২ হাজার এবং পবিত্র ডেইরিকে মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। খুলনার ফুলতলা থানার ফুলতলা বাজারে সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিবের নেতৃত্বে আল বলাই মিষ্টান্নকে খাদ্যে নিষিদ্ধ উপাদান ব্যবহারের জন্য ৮ হাজার, রাজভোগ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদনের জন্য ৬ হাজার এবং মেগা সংসারকে মোড়কে অনিয়মের কারণে ১ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়।
মাগুরায় সহকারী পরিচালক মো. সজল আহম্মেদের নেতৃত্বে সদর উপজেলার পরানান্দুয়ালী ও বউবাজার এলাকায় মেসার্স ভাই ভাই স্টোর ও মেসার্স রাজু স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। যশোরে সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার মুজিব সড়কে রসনা সুইটসকে মোড়কে অনিয়ম ও ওজনে কারচুপির জন্য ৪০ হাজার এবং টপ টেন মার্টকে যথাযথ পণ্য সরবরাহ না করার জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাতক্ষীরায় সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীরের নেতৃত্বে সদর উপজেলার রাজ্জাক পার্ক বাজার এলাকায় আহাদ হোটেলকে অবৈধভাবে খাদ্য উৎপাদনের অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঝিনাইদহে সহকারী পরিচালক নিশাত মেহেরের নেতৃত্বে সদর উপজেলার শিল্পকলার সামনে ও পাগলা কানাই বাজার এলাকায় মুন্সি স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার কারণে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নড়াইলে সহকারী পরিচালক শামীম হাসানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার মুলিয়া ও বাহিরগ্রাম বাজারে মেসার্স সৈকত ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে ১ হাজার, মেসার্স নাজিম স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার জন্য ৪ হাজার এবং মেসার্স নুর আয়েশা ফুড অ্যান্ড বেকারীকে মোড়কে অনিয়মের জন্য ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। চুয়াডাঙ্গায় সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার দামুড়হুদা ও গোপিয়া পাড়া বাজার এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠান মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, যথাযথ পণ্য সরবরাহ না করা এবং অতিরিক্ত দামে বিক্রির অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়।
অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলা হয়, সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে পণ্য বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।
এমকে/এসএন