বাংলাদেশের কাছে হারের কারণ ব্যাখ্যা করলেন রশিদ খান

এশিয়া কাপের গ্রুপ ‘বি’-র ম্যাচে আফগানিস্তানকে আট রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে হংকংকে বিশাল ব্যবধানে হারানোর পর রশিদ খানের দলের এটি প্রথম হার। এই হারের মূল কারণ হিসেবে নিজের আউটকে দায়ি করেছেন আফগান অধিনায়ক। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান করে বাংলাদেশ ।


ওপেনার তানজিদ হাসান ঝোড়ো অর্ধশতক হাঁকিয়ে দলকে দারুণ সূচনা দেন। তার সঙ্গে সাইফ হাসান ৩০ এবং মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ২৬ রান করেন। আফগানিস্তানের পক্ষে রাশিদ খান ও নূর আহমদ দুইজনই দুটি করে উইকেট নেন। আজমতুল্লাহ ওমরজাই নেন এক উইকেট ।


লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে। আট রানের জয় পায় বাংলাদেশ। শেষ দুই ওভারে আফগানদের দরকার ছিল ২৭ রান। উইকেটে ছিলেন রশিদ।



১৯তম ওভারের প্রথম বলে মুস্তাফিজকে বাউন্ডারি মেরে শুরু করলেও পরের বলে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরনে তিনি। ১১ বল খেলে ২০ রান করেন তিনি। পরের বলে আউট হন আল্লাহ গজানফরও। ৯ নম্বরে নেমে নূর আহমদ ৯ বল খেলে ১৪ রান করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

ম্যাচ শেষে রশিদ খান বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ছিলাম। আমার আউট হওয়া পর্যন্ত সব ঠিক ছিল, তবে আমরা ম্যাচ শেষ করতে পারিনি। এই সময়ে ১৫ বলের মধ্যে ৩০ রান করা সম্ভব, কিন্তু আমরা নিজেরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম এবং শটগুলো ঠিকভাবে খেলতে পারিনি।

তিনি আরো যোগ করেন, ‘আমাদের বোলিং ইউনিট সত্যিই দুর্দান্ত কাজ করেছে। প্রথম ১০ ওভারে ৯০ রান হওয়ার পরও আমরা বাংলাদেশকে ১৬০-এর নিচে রাখতে পেরেছি। তবে কিছু অনাবশ্যক ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলার কারণে আমরা সুযোগ নষ্ট করেছি।

আফগানিস্তান পরবর্তী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বৃহস্পতিবার সুপার ফোরে যাওয়ার লড়াইয়ে। রশিদ সতর্ক করে বলেন, ‘পরবর্তী ম্যাচ বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের ভুল থেকে শিখে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অভিনয়ের পাশাপাশি ফ্যাশন আইকন হিসেবেও সকলের পছন্দ হানিয়া আমির Sep 17, 2025
img
এটা নতুন ভারত, কাউকে ভয় পায় না: মোদি Sep 17, 2025
img
সরকার ডিসেম্বরে বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে : রুহিন হোসেন Sep 17, 2025
img
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ট্রাম্প Sep 17, 2025
img
বলিউডে অভিনয় নিয়ে নিজের মনের কথা জানালেন মালবিকা মোহনান Sep 17, 2025
img
দুর্নীতির অভিযোগে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান Sep 17, 2025
img
বিসিবি নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তফসিল প্রকাশ Sep 17, 2025
img
কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষকদের সমর্থন প্রকাশ Sep 17, 2025
img
বিতর্কের পর অবশেষে পাকিস্তানের ‘বিজয়’, আসছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত Sep 17, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলাম Sep 17, 2025
img
একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন Sep 17, 2025
img
এই সরকার জামায়াত-এনসিপির সরকার : শামীম পাটোয়ারী Sep 17, 2025
img
‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’, কারাগারে যাওয়ার আগে ব্যারিস্টার সুমন Sep 17, 2025
img
প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ঢাকা-নোয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ Sep 17, 2025
img
সাবেক ডিসি সুলতানার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন Sep 17, 2025
img
‘স্যার আপনার জন্য ১ লাখ টাকা আছে’, ডিএনসিসি প্রশাসককে প্রস্তাব দেওয়া কর্মকর্তা বরখাস্ত Sep 17, 2025
img
মিয়ানমারের ১২১ আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের Sep 17, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের চাপে আপাতত ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান Sep 17, 2025
img
সাংবিধানিক ক্রাইসিসের সমাধান না হলে গণ-অভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতি হবে : তুষার Sep 17, 2025
img
আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য নৈতিক শিক্ষা জরুরি : ডা. শাহাদাত Sep 17, 2025