ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে আওয়ামী লীগ যে আচারণ করেছে তা দেশের জন্য খুবই লজ্জাকর বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি।
আজ বৃহস্পতিবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত এক ভিডিওতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘লন্ডন শহরে আওয়ামী লীগ একের পর এক শোডাউন করে যাচ্ছে। অবস্থার দৃশ্য মনে হচ্ছে যে লন্ডন থেকেই মূলত বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে।’
লন্ডনে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস ও বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন তিনি। ভিডিওতে রনি জানান, ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে এয়ারপোর্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রিসিভ করতে এসেছিলেন। নিজেই গাড়ির দরজা খুলে দিয়েছিলেন এবং বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এসব কিছুই হয়েছিল কারণ, ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবীদের বড় একটি গ্রুপ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লন্ডনে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।’
বর্তমান জামায়াতে গ্রুমিংটাও লন্ডনে হয়েছে বলে দাবি করেছেন গোলাম মাওলা রনি। তার দাবি, যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন তখন ওখানকার আওয়ামী লীগ বিএনপি দ্বারা বহুবার অপদস্থ হয়েছে।
রনি বলেন, ওখানকার (বিট্রিশ) জনমতটা এস্টাবলিশমেন্টবিরোধী থাকে। সে কারণে এখন যারা ওখানে আওয়ামী লীগে আছেন তারা তুলনামূলকভাবে বিএনপি-জামায়াতের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে আছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘এখন লন্ডনে যে কাজটি আওয়ামী লীগ করতে পারছে, সে কাজটি চাইলেও জামায়াত করতে পারবে না। কারণ ব্রিটিশ জনপথ এবং পরিবেশ ওভাবে কাজ করে না। তো সেই দিক থেকে গত এক বছরে আওয়ামী লীগ ওখানে যেসব অঘটন ঘটিয়েছে, এ রকম অঘটন আসলে ইতিপূর্বে বিএনপি-জামায়াত ঘটাতে পারেনি।’
গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের সঙ্গে তারা (লন্ডন আওয়ামী লীগ) যে নজিরবিহীন আচরণ করেছে, দেশের জন্য সেটি খুবই লজ্জাকর। কিন্তু আওয়ামী লীগ এটা নিয়ে ভীষণ খুশি।
তারা মনে করছে যে, তারা বাপের ব্যাটার মতো একটা কাজ করতে পেরেছে। সিরিয়াসলি যেটা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মনে রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ওখানে (লন্ডনে) ডে বাই ডে যেভাবে আওয়ামী লীগের শক্তি বাড়ছে। এখানে রাজনীতির একটা খুব নিষ্ঠুর নিয়ম হলো, যখন কোনো একটি পক্ষ রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে যায় তখন প্রতিপক্ষ তার সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে। যেমন জামায়াত ইংল্যান্ডে খুব শক্তিশালী ছিল। দেশের জামায়াতের অবস্থা যা-ই থাকুক না কেন ইংল্যান্ডের যত বিখ্যাত বিখ্যাত আওয়ামী লীগের নেতা তাদের প্রয়োজনে তারা অনেকেই জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন এবং তাদের নিকট ধরনা ধরতেন। এমনকি বিএনপির লোকজনও সে কাজটি করতেন। এখন যদি আওয়ামী লীগ ওখানে সাংগঠনিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে যায় তখন দেখবেন যে এই জামায়াতের যারা লোকজন আছে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে বন্ধুত্ব শুরু করবেন।’