টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের স্পিন বিভাগে অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র শেখ মেহেদী হাসান। যদিও অলরাউন্ডার হিসেবে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করা এই তারকার ব্যাটিংয়ে অফফর্ম নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। ব্যাটারদের গতিবিধি বোঝা এবং স্টক ডেলিভারিতে দক্ষ মেহেদীর স্পিন অবশ্য কার্যকরী। আফগানিস্তান ম্যাচে তিনি টাইগারদের একাদশে ছিলেন না। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাকে একাদশে প্রয়োজন বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
আজ (শনিবার) লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ সুপার ফোরের লড়াই শুরু করবে। এই ম্যাচে টাইগারদের জন্য ভেন্যুও বদলে যাবে। গ্রুপপর্বে তারা তিনটি ম্যাচই খেলেছিল আবুধাবিতে। এখন সুপার ফোরের তিন ম্যাচই দুবাইতে। যেখানে আবুধাবির চেয়ে তুলনামূলক স্লো ও টার্নিং উইকেট হয়ে থাকে। ফলে খেলার ধরন এবং কৌশলে পরিবর্তন আনতে হবে লিটন দাসের দলকে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর আলোচকরা শেখ মেহেদীকে একাদশে রাখার যুক্তি দিয়েছেন।
হংকংয়ের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মেহেদী। এরপর লঙ্কানদের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন। আবুধাবির পিচ এবং একই প্রতিপক্ষ বিবেচনায় স্বভাবতই শেখ মেহেদীকে যে একাদশে ফেরাতে হবে সেই কথাই উঠে এসেছে আলোচনায়। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ পূর্ববর্তী ক্রিইনফোর আলোচনায় সাবেক ভারতীয় তারকা ওয়াসিম জাফর বলেন, ‘বাংলাদেশ (আফগানিস্তানের বিপক্ষে) ভালো ম্যাচ খেলেছে। তবে তাদের পঞ্চম বোলারের সংকট আছে। যেখানে তানজিম সাকিব কিংবা মেহেদী হাসানকে খেলানো যায়। দুবাইয়ের উইকেট বিবেচনায় মেহেদীকে খেলাতে যেতে পারে বলে মনে করি।’
লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপে বাঁ-হাতি ব্যাটারের আধিক্য আছে। টপ ও মিডল অর্ডার মিলিয়ে একাদশে থাকতে পারেন ৪ বাঁ-হাতি ব্যাটার। সেই প্রসঙ্গ টেনে মেহেদীকে খেলানো এবং তার ব্যাটিং পজিশন নিয়ে ওয়াসিম জাফরের অভিমত, ‘মেহেদী ফিরলে ৭ নম্বরে খেলতে পারে। পাওয়ার প্লেতে বাঁ-হাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে তার বোলিং কার্যকরী।’ তাওহীদ হৃদয়কে বাদ দেওয়ারও পরোক্ষ অনুরোধ তার, ‘হৃদয় ধারাবাহিক ছিল না। তবে জাকের-শামীম আছে। আমার মতে পঞ্চম বোলার খেলাতে গিয়ে ব্যাটার কমলেও, যারা আছে তারাই যথেষ্ট হবে।’
শেখ মেহেদীকে দলে নেওয়ার প্রসঙ্গে আরেক আলোচক ও সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার অভিনব মুকুন্দ বলছেন, ‘লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপে বাঁ-হাতি চারজন। ফলে মেহেদীকে আপনি নিতেই চাইবেন। তার ব্যাটিংয়ে সমস্যা আছে জানি, তবে ওপরে তো ছয় ব্যাটার আছে। এখন আপনার পাঁচ বোলার জরুরি।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশ চারজন বোলার নিয়ে খেলেছিল। ফলে পঞ্চম বোলারের কাজটা সারতে হয় সাইফ হাসান ও শামীম পাটোয়ারীর মাধ্যমে। তবে তারা উভয়েই বেশ খরুচে ছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেনদের কল্যাণে বোলার সংকটের বিষয়টি হারের কারণ হতে পারেনি বাংলাদেশের। ১৫৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে তারা ৮ রানে জয় পায়।
এসএস/টিএ