জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, আমেরিকায় এই পুরো ঘটনার দায় ইন্টেরিম সরকারের। এটা একটা সরকারি সফর। আমরা ইউএন এর সাধারণ পরিষদের একটা সভায় গেছি। আমরা সরকারের নিমন্ত্রণে গেছি।
সরকারের আমন্ত্রণে গিয়ে যদি আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকির মধ্যে পড়তে হয় তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক কোনো ব্যাপার নাই। যারা বিদেশের মাটিতে আমাদের নেতৃবৃন্দকে কোনোরকম নিরাপত্তা দিতে পারছেন না, তাদের কাছে আমরা আর কোনো কিছুই আশা করতে পারি না।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
সারোয়ার তুষার বলেন, ইন্টেরিম সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দকে যেভাবে একটা জীবনের আশঙ্কার মধ্যে ফেলে দিয়েছে এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।
যারা দোষী ওখানে বাংলাদেশ মিশন দূতাবাস কন্সুলেট জেনারেল সহ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই দায় তাদেরকে নিতে হবে। কেন সরকারি প্রটোকলে প্রধান উপদেষ্টা সহ তার উপদেষ্টাবৃন্দ চলে গেলেন আমাদের যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতা তাদেরকে এভাবে একটা ঝুঁকির মধ্যে রেখে?
তুষার বলেন, ওখানে মিশন এবং আওয়ামী লীগ আমলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস কন্সুলেট জেনারেল সহ যে সমস্ত জায়গায় গত ১৫ বছর যারা নিয়োগ পেয়েছেন এদের সবাইকে চিহ্নিত করে সাসপেন্ড করতে হবে। আর এই ঘটনায় কন্সুলেট জেনারেল এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সরিয়ে নিতে হবে। এর আগেও আমরা দেখেছি, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তিনি কোনভাবেই এই পদের জন্য যোগ্য না।
তিনি আবারও নিজের অযোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। দূতাবাস থেকে আমাদের যারা নেতৃবৃন্দ ছিলেন তাদেরকে একটা ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, প্রোটোকল ঠিক করা আছে। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা দেখলাম আসলে প্রটোকল ঠিক করা নাই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে একটা গুপ্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তাদের কোনো রকমের রাজনৈতিক প্রকাশ্য তৎপরতা বাংলাদেশে নাই।
এজন্য তারা বিদেশের মাটিকে বেছে নিয়েছে। তারা আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ সরকার সহ জনগণের যে নেতৃবৃন্দ তাদেরকে পেয়ে এক ধরনের অপদস্ত করার, হামলা করার দৃষ্টতা দেখিয়েছে। আওয়ামী লীগের এই সমস্ত কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদেরকে আর দেখা যাবে না।
তিনটা দাবির কথা উল্লেখ করে তুষার আরো বলেন, আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার। প্রথমত, আওয়ামী লীগকে বিচারিক কায়দায় নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত সেখানে, তাদের যে ধরনের নাগরিকত্ব থাকুক কিংবা গ্রীন কার্ড থাকুক সেটা প্রত্যাহার করে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। তৃতীয়ত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আমেরিকায় বাংলাদেশ দূতাবাস কন্সুলেট জেনারেল সহ যে সমস্ত দোষী কর্মকর্তা আছে তাদেরকে শাস্তি, জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
এমকে/এসএন