সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোজাম্মল হকের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন এই দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, কবিরুল হক মুক্তি এবং মোজাম্মেল হক বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে যুক্ত। এসব গ্রুপে তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রের অবকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার জন্য উসকানিমূলক প্রচার ও প্রচারণা চালান। তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পেতে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে গুলশানের ডা. ফজলে রাব্বী পার্কের পাশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার হাতে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করাসহ তাদের কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে উসকানিমূলক স্লোগান দেন এবং রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করেন।
ওই ঘটনায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পুলিশ মোবাইল ফোনগুলোতে মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে আসামিদের রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংসের লক্ষ্যে সংগঠিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালানোর তথ্য দেখতে পায়।
এ ঘটনায় গুলশান থানার এসআই মাহাবুব হোসাইন ওইদিনই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।
কেএন/টিএ