বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিং শক্তিমত্তা পরীক্ষা করতে চেয়েছে ভারত

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দলের ব্যাটিং শক্তিমত্তা পরীক্ষা করতে চেয়েছিল ভারত। ওমানের বিরুদ্ধে কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলেন সূর্যকুমার যাদবেরা। তাই টস জিতলেও আগে ব্যাট করার কথাই ভেবেছিল ভারতীয় শিবির। এদিকে বাংলাদেশ টস জিতে ফিল্ডিং নেয়। ফলে অনেকটা নিজেদের ইচ্ছেই পূরণ হয়েছে ভারতের।

বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। দারুণ জয়ে দলের ব্যাটিং নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল করে এক রকম পরীক্ষা নিরীক্ষাই সেরেছে তার দল। এখন সূর্যের দলের লক্ষ্য ফাইনালে জয়।

ম্যাচ শেষে সূর্যকুমার বলেন, ‘টুর্নামেন্টে আমরা প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ বেশি পাইনি। তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আমরা ব্যাটিং দেখে নিতে চেয়েছিলাম। সুপার ফোরে আমাদের ব্যাটিং গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কতটা কী করতে পারছি, সেটা বুঝে নেওয়ার দরকার ছিল। এখানকার পিচ পরের দিকে একটু মন্থর হয়ে যাচ্ছে। এখানে শিশিরের সমস্যা নেই। তাই পরে বল করতে অসুবিধা হচ্ছে না। সব মিলিয়েই আমরা ২০ ওভার ব্যাট করার কথা ভেবেছিলাম।’

শিভম দুবেকে ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে পাঠানো পরিকল্পনার অংশ বলে জানিয়েছেন সূর্যকুমার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভাল বাঁহাতি স্পিনার এবং লেগ স্পিনার রয়েছে। শিভম স্পিন ভাল খেলে। ওদের সামলানোর জন্য শিভমকেই সঠিক ব্যক্তি মনে করেছিলাম আমরা। সেই পরিকল্পনা থেকেই ওকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শিভম রান না পেলেও আমরা পরের ম্যাচে চেষ্টা করব।’

ভারতীয় দলের ইনিংস ১৬৮ রানে শেষ হয়। প্রথম ১০ ওভারে ৯৬ রান ওঠার পরও কেন ১৮০-১৮৫ রান করা গেল না? সূর্যকুমার বলেন, ‘এই মাঠের আউটফিল্ড বেশ মন্থর। আউটফিল্ড দ্রুতগতির হলে ১৮০-১৮৫ রান হয়ে যেত। তবে আমরা ১২ থেকে ১৪ ওভার ভাল বল করতে পারলে যেকোনো রান করে জিততে পারি।’

সুপার ফোর পর্বে ভারতের পরের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। শুক্রবারের সেই ম্যাচ এখন নিয়মরক্ষার। কারণ ভারত ফাইনালে উঠে গিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের ফলে শ্রীলঙ্কার বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হওয়ার লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

এবি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শাপলা প্রতীক নিয়ে সিইসির বক্তব্যের জবাবে হাসনাতের পোস্ট Sep 25, 2025
img
কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট নয়, সংরক্ষণে কঠোর অধ্যাদেশ হচ্ছে: কৃষি উপদেষ্টা Sep 25, 2025
img
ভারত টেস্ট দলে নতুন দায়িত্ব পেলেন জাদেজা Sep 25, 2025
img
ইনুর বিরুদ্ধে ৮ অভিযোগ গ্রহণ করল অপরাধ ট্রাইব্যুনাল Sep 25, 2025
ইরানি প্রেসিডেন্টের কঠোর প্রতিশ্রুতি, পারমাণবিক অস্ত্র আর নয় Sep 25, 2025
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ৬ রাজনীতিবিদকে পরিচয় করিয়ে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা Sep 25, 2025
img
৪৭ বছর পর এফডিসি থেকে অশ্রুসিক্ত চোখে বিদায় নিলেন খোরশেদ Sep 25, 2025
একাত্তরের ব্যথা ফের প্রকাশ: “আজকেও হারাব” — চমক! Sep 25, 2025
চেয়ারে বসার জন্য ৩০০ জন ক্রিকেটারের রুটি-রুজি বন্ধ করেন না: তামিম Sep 25, 2025
img
পাকিস্তানকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ Sep 25, 2025
img
ভোটের জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে : সিইসি Sep 25, 2025
img
রাজনৈতিক গালাগাল থেকে ডিমের রাজনীতি- দেশ কোথায় যাচ্ছে: গোলাম মাওলা রনি Sep 25, 2025
img
ক্যাটরিনা ছাড়াও ৪০ বছর বয়সের পর মা হয়েছেন আরও বলিউড অভিনেত্রী Sep 25, 2025
img
বিশ্বের বৃহত্তম বহুজাতিক বাণিজ্য সংস্থা বাংলাদেশকে দিল সবুজ সংকেত Sep 25, 2025
img
এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদ একসঙ্গে কাজ করছে : সারজিস আলম Sep 25, 2025
img
নিবন্ধন পেল লেবার পার্টি, প্রতীক আনারস Sep 25, 2025
img
আলহামদুলিল্লাহ, এই ব্যালন ডি’অর আমার উত্তর : দেম্বেলে Sep 25, 2025
img
ডাকসু নির্বাচন যে অস্বচ্ছ হয়েছে এটা পানির মতো পরিষ্কার : মেঘমল্লার বসু Sep 25, 2025
img
সরকার থেকে আমাকে সেই অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়নি : তাসনিম জারা Sep 25, 2025
img
তরুণরা ঝুঁকি নেয়, ফল ভোগ করে সিনিয়র সিটিজেনরা: রাশেদ খান Sep 25, 2025