পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১ রানে হেরে এশিয়া কাপ মিশন শেষ হয়েছে বাংলাদেশ দলের। পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে খেলার দারুণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। তবে সেই সুযোগ নিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। এর পেছনে বড় কারণ ব্যাটারদের ব্যর্থতা। আগের ম্যাচে ভারতকে ১৬৮ রানে আটকে রেখেও ৪১ রানে ম্যাচ হেরেছিল।
এবার পাকিস্তানকে ১৩৫ রানে আটকে দিয়েও ম্যাচ জিততে পারেনি টাইগাররা। পারফরম্যান্স দেখে বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের বোলাররা তাদের কাজটা বেশ ভালোভাবেই করেছেন। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স মনে করেন এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের বড় প্রাপ্তি বোলিং।
এশিয়া কাপে সাইফ হাসানকে নতুন করে যেন খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। ডানহাতি এই ব্যাটার এশিয়া কাপে ৪ ম্যাচেই করেছেন ১৭৮ রান। গড় সাড়ে চুয়াল্লিশ। তাই সাইফের পারফরম্যান্সকেও বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ।
তিনি বলেছেন, 'অবশ্যই এটা এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হবে (সাইফের ব্যাটিং)। কিন্তু আমি মনে করি অন্য ইতিবাচক দিক হলো আমাদের সব বোলাররা পুরো টুর্নামেন্টে যেভাবে বোলিং করেছে। আমি মনে করি তারা প্রত্যেক ম্যাচে সঠিক জায়গায় বল করেছে। তবে, আমি আপনার সাথে একমত, সাইফ একটি বিশাল ইতিবাচক দিক।'
বাংলাদেশ সুপার ফোরের শেষ দুই ম্যাচে পায়নি নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাসকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে হালকা চোটে পড়েছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসানও। ফলে সেরা দুই ব্যাটারকে ছাড়াই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। এই দুই ব্যাটারকে ছাড়া খেলা সহজ ছিল না বলে স্বীকার করেছেন সিমন্স। তিনি বলেন, 'আমরা মাত্র দুই ম্যাচ আগেই একই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে ১৬০ রান তাড়া করেছি। এটা... আমরা এমন দল নই যে তামিম এবং অধিনায়ককে এক ম্যাচে হারিয়েই তাদের জায়গা পূরণ করে ফেলব। আমরা এখনো সেই পর্যায়ে নেই। আমরা সেখানে পৌঁছাচ্ছি। কিন্তু আপনার অধিনায়ককে হারানো এবং তার এমন ভালো ফর্মে থাকাটা আমাদের জন্য একটা বড় ব্যাপার ছিল।'
তিনি যোগ করেন, 'আমরা একই উইকেটে ১৬০ তাড়া করেছি। তাই, যখন আমরা ১৬০ তাড়া করেছিলাম, ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং সিদ্ধান্তগুলো আজকের চেয়ে ভালো ছিল। সুতরাং, ব্যাটিং অর্ডার এটা বলে না যে আপনি... আপনি ভালো ব্যাটিং করেছেন নাকি খারাপ ব্যাটিং করেছেন। এটা বলে যে আপনি আজ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'
ইউটি/টিএ