গ্রুপপর্ব ও সুপার ফোর মিলিয়ে ৬ ম্যাচে অপরাজেয় থেকেই এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে ভারত। তারা টুর্নামেন্টটির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, যদিও এবারের ফরম্যাট ভিন্ন। তবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণেও ভারত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ খেলতে নামে। যথারীতি দাপট দেখিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করা সূর্যকুমার যাদবের দল জোড়া চোটের শঙ্কায় পড়েছে।
গতকাল (শুক্রবার) সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয় ভারত। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত অভিষেক-স্যামসনরা সুপার ওভারে জিতেছে। আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত অভিষেক শর্মার ৬১, তিলক ভার্মার ৪৯ ও সঞ্জু স্যামসনের ৩৯ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে তোলে ২০২ রান। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে পাথুম নিশাঙ্কার ১০৭ ও কুশল পেরেরার ৫৮ রানের পর সমান ২০২ রান করে লঙ্কানরাও। এরপর তারা সুপার ওভারে মাত্র ২ রান করলে ভারত অনায়াসেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
ভারতের জন্য ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হলেও তারা কেবল জাসপ্রিত বুমরাহ ও শিভাম দুবেকে বিশ্রামে রেখে লঙ্কানদের বিপক্ষে একাদশ সাজায়। পরবর্তীতে খেলার মাঝেই চোট পেয়েছেন অভিষেক ও হার্দিক পান্ডিয়া। বা পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন হার্দিক, ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওভার করেই তিনি মাঠ ছাড়েন। ওই ওভারে ৭ রান দিয়ে কুশল মেন্ডিসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। পরবর্তীতে হার্দিকের চোট নিয়ে ভারতীয় বোলিং কোচ মর্নে মরকেল জানান, ‘হার্দিকের ক্র্যাম্পস (পায়ে টান লাগা) হয়েছে। আজ রাত ও কাল সকালে তার পরীক্ষা করা হবে। এরপর আমরা বিষয়টি পুরো বুঝতে পারব।’
এদিকে, ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করা অভিষেককে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের মাঝামাঝিতে মাঠে ছাড়তে দেখা যায়। লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ের সময় নবম ওভারেই অস্বস্তিতে পড়েন তিনি। ডান পায়ের ঊরুতে অসুবিধা হচ্ছিল তার। ফলে দশম ওভারেই অভিষেক মাঠ ছাড়েন। তিনি মাঠ ছাড়ার আগমুহূর্তেই বরুণ চক্রবর্তী বল করেন, ফলে পাথুম নিশাঙ্কা ওই ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকালেও ডেড বল ঘোষণা করেন আম্পায়ার। হার্দিকের মতো অভিষেকেরও ক্র্যাম্পস সারাতে বাকি সময় বরফের সাহায্যে প্রাথমিক পরিচর্যা করা হয় বলে জানিয়েছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
চোট ও খেলোয়াড়দের রদবদলের ফলে মাঝে বদলি হিসেবে ফিল্ডিং করেছেন একাদশের বাইরে থাকা রিঙ্কু সিং, দুবে ও জিতেশ শর্মা। এদিকে, হার্দিক-অভিষেকের চোট গুরুতর কিছু নয় বলে আশা ভারতের। বোলিং কোচ মরকেল জানিয়েছেন, ‘এখন ছেলেদের জন্য উপযোগী বিষয় হচ্ছে বিশ্রাম। ইতোমধ্যে তাদের বরফের গোসল সম্পন্ন হয়েছে। ম্যাচ শেষেই অস্বস্তি থেকে কাটিয়ে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর এই পুনর্বাসনের সেরা উপায় ঘুম এবং নিজের পা-কে যথাসম্ভব নড়াচড়া না করা। আশা করি তারা ভালো ঘুম ও বিশ্রাম পাবে।’
আগামী রোববার এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত লড়বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে। এশিয়া কাপের ৪১ বছরে এই প্রথমবার তারা ফাইনালে মুখোমুখি হবে। এর আগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি নিয়ে মরকেল বলেন, ‘খেলোয়াড়দের সংগঠিত করার জন্য আলাদা পুল সেশন আছে। বড় ম্যাচের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে ম্যাসাজ নিতে পারবে তারা। এটি দ্রুত নিজেদের চাপমুক্ত করা ও স্মার্ট ক্রিকেট খেলার কৌশল। ম্যাচের আগে কোনো অনুশীলন থাকছে না।’
এসএস/টিএ