নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের শাপলা প্রতীক দেবে না এর কারণও ব্যাখ্যা করবে না।
নিশ্চয়ই তারা কোনো চাপে এই শাপলা প্রতীক দিচ্ছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস বলেন, নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এর কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যাও দিতে পারেনি। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে যদি নির্বাচন কমিশনের মতো একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান প্রতীক দেওয়া নিয়ে চাপে পরাজিত হয়, তাহলে নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই এর স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। আমরা আইনগতভাবে বৈধভাবে আবেদন করেছি। যেহেতু কোনো আইনগত বাধা নেই, আমরা আশা করছি এনসিপি শাপলা প্রতীক পাবে।
আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ হয়ে গেছে। তারা পাচার করা টাকা দেশে পাঠিয়ে মাঝে মাঝে টোকাই মিছিল বের করছে।
এগুলো প্রকৃত আওয়ামী লীগের মিছিল না। অনেকে বলে আওয়ামী লীগের ৩০ বা ৫০ শতাংশ সমর্থন আছে- আসলে তারা কখনোই এত জনসমর্থন পায়নি। তাদের প্রোগ্রামে যেসব লোক দেখানো হয়, সেগুলো ভাড়াটে লোক। যদি সত্যি তাদের এত সমর্থন থাকতো, তাহলে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে তারা মাঠে থাকতো।
সারজিস গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি একিভূত করা সম্পর্কে বলেন, আমরা যেহেতু সমমনা ও কাছাকাছি আদর্শের, কাছাকাছি বয়সের তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক দল আমরা সবার সঙ্গে কথা বলছিলাম কীভাবে নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করা যায়। বাংলাদেশের মানুষ এই তরুণ প্রজন্মকে একসঙ্গে ইউনাইটেড দেখতে চায়। আমরা রাজনৈতিক দলের পর্যায়ে যদি ইউনাইটেড হতে পারি মাঠপর্যায়ের মানুষও ইউনাইটেড হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। এটি পজেটিভভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করি নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা অংশ নিয়ে মানুষের সমর্থন নিয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবো।
এমকে/টিকে