ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, জেরা আগামী ৬ অক্টোবর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা আগামী সোমবার (৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেলে মামলার ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর জবানবন্দি দেন।

তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর জানান, জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমন করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর প্রায় ৩ লাখ ৫ হাজার গুলি চালায়।

তিনি অভিযোগ করেন, আসামিরা হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতা ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নেননি, বরং খুন-গুম-জখমের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছিলেন।

এর আগে আদালতে উপস্থাপন করা হয় যমুনা টেলিভিশন, বিবিসি ও আল জাজিরাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত চারটি ভিডিওচিত্র। এসব প্রমাণে আন্দোলন দমনের নৃশংসতার চিত্র উঠে আসে।

প্রসিকিউটর তানভীর জোহা বলেন, আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা ফোনে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

তবে সেই কল রেকর্ড এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান মুছে ফেলেন। একইভাবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাবেক এক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কল রেকর্ডও মুছে ফেলা হয়।

প্রসিকিউশনের পক্ষে মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন সাক্ষীদের জেরা করবেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার এ মামলায় ৮১ জনকে সাক্ষী করা হয়।

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লাহোরে শেষ নিশ্বাস নিলেন কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা লাকি ডিয়ার Sep 30, 2025
img
৬২ বছরে প্রসেনজিৎ: জন্মদিনে তাপস পালের স্মৃতিতে বুম্বাদা Sep 30, 2025
img
গত ১৪ মাসে শ্বশুরবাড়ি কলকাতায় যাননি মিথিলা Sep 30, 2025
img
বাজেট দ্বন্দ্বে ‘শাটডাউন’ আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র Sep 30, 2025
img
পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে আর না খেলার পরামর্শ আকমলের Sep 30, 2025
img
মার্কিন হামলা হলে ভেনেজুয়েলায় জরুরি অবস্থা জারির জন্য প্রস্তুত মাদুরো Sep 30, 2025
img
নরসিংদীতে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হলেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী Sep 30, 2025
img
নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করেছে এনসিপি : ইসি Sep 30, 2025
img
খাগড়াছড়ির ঘটনায় ৫ সদস্যের কমিটি গঠন Sep 30, 2025
img
শুভ সপ্তমীতে একসঙ্গে ধরা দিলেন সৃজিত ও সুস্মিতা Sep 30, 2025
img
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না : নেতানিয়াহু Sep 30, 2025
img
বরুণ-জাহ্নবীর একান্ত মুহূর্ত কাটছাট, ছাড়পত্র পেলো ‘সানি সংস্কারি কি তুলসি কুমারী’ Sep 30, 2025
img
শুরু হলো ‘আওয়ারাপান ২’-এর শুটিং, প্রথমবার একসঙ্গে ইমরান-দিশা! Sep 30, 2025
img
জাতিসংঘে সভাপতিত্বের জন্য প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের Sep 30, 2025
img
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আমাকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেনি : বাপ্পী Sep 30, 2025
img
কালো শেরোয়ানিতে নজর কাড়লেন ঐশ্বরিয়া Sep 30, 2025
img

সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা

এমন মানুষও আছেন যারা বলছেন ৫ বছর থাকুন, ১০ বছর থাকুন ৫০ বছর থাকুন Sep 30, 2025
img
দেশ-বিদেশি ষড়যন্ত্র তীব্রভাবে ক্রিয়াশীল হচ্ছে : রিজভী Sep 30, 2025
img
শাকিব-হানিয়া প্রসঙ্গে শিল্পীদের মূল্যায়ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সেমন্তী Sep 30, 2025
img
যীশুকে অভিনয় ছেড়ে দিতে বারণ করেছিলেন অমিতাভ Sep 30, 2025