নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে ড. ইউনূসের জবাবটা আরো ভালো হতে পারত : জাহেদ উর রহমান

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিষেধাজ্ঞা সরকার চাইলেই তুলে নিতে পারে কি না, এই প্রশ্নের জবাবটা ড. ইউনূস ডিপ্লোম্যাটিকলি বেটার দিতে পারতেন। আমরা এভাবে যদি বলি, উনি চাইলে এটা বলতে পারতেন যে আওয়ামী লীগের বিচার হবে আইসিটিতে। সেই বিচারের যখন রায় হবে, সেটাই নির্ধারিত হবে সে দল হিসেবে থাকবে, নাকি থাকবে না।’

বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘সরকার চাইলে আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা কালি তুলে নিতে পারে। কেন? আমরা জানি আওয়ামী লীগকে বিচারের কথা হচ্ছে। আইসিটি যে আইন আছে তাতে আওয়ামী লীগের সময়ই সংগঠনের বা দলের বিচারের অপশন ছিল। এই সরকার সেটা রেখেছিল এবং তাতে শাস্তি যুক্ত করে উপদেষ্টা পরিষদে উত্থাপন করা হয়।

সারপ্রাইজিংলি উপদেষ্টা পরিষদ সেটা বাদ দিয়ে দেয়। মানে দলকে বিচার করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে আছে নিশ্চয়ই, জনাব হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটা আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সংগঠনকে বিচার করা যাবে বলে আবার আইসিটিতে ঢোকানো হয়।

আরেকটা কাজ করা হয়, সেটা হচ্ছে ২০০৯ সালের যে সন্ত্রাস দমন আইন, সেখানে একটা ধারা যুক্ত করে বলে দেওয়া হয় যে চাইলে কোনো দলের কর্মকাণ্ড বা কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা যাবে। তার মানে, আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড-কর্মসূচি নিষিদ্ধ আছে এক্সিকিউটিভ অর্ডারে। কোনো বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্ত না।’
 
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ‘আইসিটিতে এখনো আওয়ামী লীগের ব্যাপারে ফরমাল কোনো চার্জ আনা হয়নি। ইনভেস্টিগেশন ও বিচার তো দূরেরই কথা।

তার মানে আওয়ামী লীগের বিচার, অভিযোগ তৈরি করা, মামলা করা, ইনভেস্টিগেট করা, হিয়ারিং হওয়া—এগুলো হতে হতে এই নির্বাচনটা থাকছে না। আর সরকার যেহেতু এক্সিকিউটিভ অর্ডারে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিষিদ্ধ করেছে, সেই কারণে আওয়ামী লীগের পক্ষে তো নির্বাচনে পার্টিসিপেট করা সম্ভব না।’

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পাকিস্তান সফরের মাঝপথেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন ২ লঙ্কান ক্রিকেটার Nov 18, 2025
img
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমার পূর্বাভাস Nov 18, 2025
img
ভাগ্যশ্রীর তেলুগু ক্যারিয়ারে নতুন অধ্যায় Nov 18, 2025
img
নির্বাচন বানচাল ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই যুবদল নেতাকে হত্যা : নয়ন Nov 18, 2025
img
ভারতীয়দের নাগরিকদের জন্য দুঃসংবাদ! Nov 18, 2025
img
পিএসজির কাছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি এমবাপ্পের Nov 18, 2025
img
অখন্ড ২-এ আসছে সিজনের বড় মাস অ্যান্থেম Nov 18, 2025
img
বাজার নিয়ন্ত্রণে রোজার আগেই চাল ও গম আমদানি: অর্থ উপদেষ্টা Nov 18, 2025
img
শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা চেয়ে এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি Nov 18, 2025
img
আনসার বাহিনীর জন্য কেনা হবে ১৭ হাজার শটগান : অর্থ উপদেষ্টা Nov 18, 2025
img
জকসু নির্বাচনের জন্য প্যানেল ঘোষণা শিবিরের Nov 18, 2025
img
ভারত এখন উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় অস্থির : মোদি Nov 18, 2025
img
হারল্যান ছেড়েছেন আগেই, নতুন বিজ্ঞাপনে শাকিব খান Nov 18, 2025
img
বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিতে নেইমারকে ছয় মাস সময় ও চার শর্ত আনচেলত্তির Nov 18, 2025
img
জাপানে যাওয়ার প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট বাতিল করল চীন Nov 18, 2025
img
৫ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট Nov 18, 2025
img
৭৯ বাংলাদেশি জেলে সহ ৩ নৌকা জব্দ করে নিয়ে গেছে ভারতের কোস্ট গার্ড Nov 18, 2025
img
সুষ্মিাতা সেনের গল্প: ভয়কে জয় করে আবারো সেটে ফিরে আসা Nov 18, 2025
img
১১ দফা দাবিতে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের বিক্ষোভ Nov 18, 2025
img
ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরে ১২ দফা নাগরিক ইশতেহার প্রকাশ নাগরিক সমাজের Nov 18, 2025