যেকোনো ক্রিকেট ম্যাচ শুরুর আগে প্রথম যে কাজ সম্পাদন করতে হয় সেটি হচ্ছে টস। এটির গুরুত্ব এমনই যে টস না হলে ম্যাচ হিসেবে সেটিকে লিপিবদ্ধ করা হয় না। এই টসই অনেকসময় ম্যাচের ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে। তাই যেকোনো অধিনায়কই টস জিততে চান। যদিও সবসময় তা হয় না, যেকোনো একজন অধিনায়ককে টস হারতেই হয়। তবে শুভমান গিলের টস ভাগ্য যেন একটু বেশিই খারাপ। এতটাই যে রেকর্ডের পথে তিনি।
আহমেদাবাদে আজ (২ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে এই টেস্টেও টস ভাগ্য গিলের পক্ষে যায়নি। মুদ্রা নিক্ষেপের ভাগ্য পরীক্ষায় এবারও তিনি হেরেছেন। ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ছয় টেস্টেই টসে হারলেন গিল।
দিল্লিতে আগামী ১০ অক্টোবর শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। ওই ম্যাচেও টসে হারলে গিল নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বেভান কনডনকে ছুঁয়ে ফেলবেন। অধিনায়কত্বের শুরুতে টস হারের হিসেবে এখন শুধু কনডনই গিলের ওপরে। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম সাত ম্যাচেই টসে হারেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। গিল আছেন তার ঠিক পরেই।
১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টসে হেরে কনডনের দুর্ভাগ্যের শুরু। এরপর জর্জটাউন ও পোর্ট অব স্পেনে একই প্রতিপক্ষের কাছে টস হারেন তিনি। পরবর্তীতে ওয়েলিংটন, ডানেডিন ও অকল্যান্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে হারের পর নটিংহামে ইংল্যান্ডের কাছেও টসে হারেন কনডন।
গিল অবশ্য অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ছয় ম্যাচে টসে হারের তালিকায় একা নন। তার পাশে আছেন টম ল্যাথামও। নিউজিল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সিডনিতে প্রথম ম্যাচ খেলেন ল্যাথাম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচে টসে হেরে শুরু। এরপর ওয়েলিংটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বার্মিংহামে ইংল্যান্ড, ওয়াংখেড়েতে ভারত, মাউন্ট মঙ্গানুই ও ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষে টসে হারেন ল্যাথাম।
ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে গিলের যাত্রা শুরু গত জুনে ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে। সেই সিরিজে পাঁচ টেস্টেই টসে হারেন তিনি। এর মাধ্যমে ২০১৮ সালে বিরাট কোহলির গড়া এক অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের পাশে বসেন গিল। সেটি হলো পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সব কটি ম্যাচেই টসে হার। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে পাঁচ টেস্টেই টসে হেরেছিলেন কোহলি।
টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে টানা ১০ ম্যাচে টসে হারের নজির আছে ইংল্যান্ডের নাসের হুসেইনের। ২০০০ সালের অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এ দুর্ভাগ্য হয়েছিল তার। ওয়ানডেতে টানা ১২ ম্যাচে টসে হেরেছেন ব্রায়ান লারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হিসেবে ১৯৯৮ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৯৯ সালের মে মাসের মধ্যে এ দুর্ভাগ্য হয় তার।
এমকে/এসএন