৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখেও সাকিব ছিলেন নিশ্চুপ। সব মিলিয়ে সাকিবের প্রতি জনরোষ ছিল তীব্র। যে কারণে পরে দেশে ফেরার সব উদ্যোগ নিয়েও শেষমেশ আর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে টেস্ট খেলতে দেশে ফেরা হয়নি সাকিব আল হাসানের।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সাথেই আছেন সাকিব। ৩ বাচ্চা এবং স্ত্রীর সাথে সময় কাটাচ্ছেন। দেশে ফিরতে না পেরে কি মন কাঁদে সাকিবের? জাতীয় দৈনিক সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘নিজের দেশে যেতে না পারলে তো খারাপ লাগেই। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। আসলে যখন যে পরিস্থিতি আসে, ওটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া উত্তম। আমি সেভাবেই চলছি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা সাকিব এখন খেলে বেড়াচ্ছেন নানা দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও নেই সাকিব। এসব লিগে খেলে পর্যাপ্ত আয় হচ্ছে সাকিবের? জবাবে সাকিব বলেছেন, ‘এত কিছু আসলে চিন্তা করি না। এখনও খেলতে ভালো লাগছে, তাই খেলছি।’
খেলা ছাড়ার পর কোচিং বা পরামর্শক হিসেবে ক্রিকেটের সাথেই দেখা যাবে সাকিবকে? তিনি বললেন, ‘জানি না...। খেলা ছাড়ার পরে ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা খুবই কম। বাকিটা পরে দেখব কী করব, না করব।’
ক্রিকেটজীবনে পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছে কমই। তবে এখন অফুরন্ত সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সাথে। সাকিব বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এখন অনেক সময় পরিবারের সঙ্গে থাকা হচ্ছে। আমার জন্য অনেক ভালো। বাচ্চাদের জন্য খুবই ভালো। কারণ, ওরা অনেকটা লম্বা সময় আমার সঙ্গে থাকতে পারেনি। আমিও ওদের সঙ্গে থাকতে পারিনি। সেই জায়গা থেকে এখন অনেক সময় থাকতে পারছি। পরিবারের এই সঙ্গ অনেক উপভোগ করি। ভালো লাগে (যুক্তরাষ্ট্র) যে জায়গাটায় আছি। এখানে সবকিছুই আছে।’
সাকিব যখন দেশের বাইরে তখন দেশে বিসিবি নির্বাচন নিয়ে চলছে তোলপাড়। নাটকের পর নাটক, নাটকের নতুন নতুন পর্ব মিলিয়ে পুরো বিসিবি নির্বাচন যেন পরিণত হয়েছে একটি মেগা সিরিয়ালে। যেই সিরিয়ালের সর্বশেষ দৃশ্যে নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ, নোংরামিসহ নানা অভিযোগ তুলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। যদিও নির্বাচন নিয়ে অত বেশি জানাশোনা নেই বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
বিসিবি নির্বাচন প্রসঙ্গে সাকিব বলেছেন, ‘আমি অত কিছু ফলো করিনি। আশা থাকবে, যারা (বিসিবিতে) আসবে, তারা বিসিবির ভালোর জন্য কাজ করবে। সবার প্রতি শুভকামনা। নির্বাচনের খবর খুব একটা দেখা বা পড়া হয় না। স্বাভাবিকভাবেই আমার জন্য বলা কঠিন আসলে কী হচ্ছে। এ বিষয়ে (তামিমের সরে যাওয়া) মন্তব্য না করাই ভালো। যেটা জানি না, সেখানে কিছু বলা ঠিক হবে না।’
বিসিবি নির্বাচনে লড়াইয়ে টিকে আছেন আর ৩৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ৬ জন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। বাকি আছে আরও ১৭টি পরিচালক পদ। এর বাইরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত পরিচালকসহ মোট ২৫ জন পরিচালক নিয়ে গঠিত হবে বিসিবির আসন্ন বোর্ড।
এবি/টিকে