অতীতে ইমামদের অবমূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি

ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া বলেছেন, ‘অতীতে ইমামদের অবমূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। আগে যারা ইমামদের মাইনাসের চেষ্টা করেছে, আল্লাহ তাদেরই মাইনাস করে দিয়েছেন।’

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। জাতীয় ইমাম পরিষদের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া বলেন, ‘যারা ইমামতি করছেন তাদের কথা শুনতে প্রতিদিনই মুসল্লিরা মসজিদে যাচ্ছেন। একজন ইমামের কথা শোনার পর অনেকেরই সুদ-ঘুষ, দুর্নীতি, অন্যায়-জুলুমের প্রতি ঘৃণা জন্ম নেয়। যার অবদান একমাত্র ইমামদের। তাই একজন ইমাম চাইলে একটা কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠন করতে পারেন। কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় বাধা রাষ্ট্র ও কিছু মানুষ। নির্দিষ্ট আঙ্গিকে কথা বলার জন্য ইমামদের প্রেসক্রিপশন করা হয়। তবে অতীতে যারা ইমামদের নিয়ন্ত্রণ ও অবমূল্যায়ন বা মাইনাসের চেষ্টা করেছে, আল্লাহ তাদের মাইনাস করে দিয়েছেন। সুতরাং ভবিষ্যতেও যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায় আপনারা ইমামদের মূল্যায়ন করুন। স্বাধীনভাবে কথা বলার পরিবেশ করে দিন।’

পরিষদের মহাসচিব মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফি, মুফতি ইমাদুদ্দিন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী প্রমুখ।

বক্তব্যে তারা বলেন, আদর্শ সমাজ ও কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা অপরিহার্য। দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণে নিরলস কাজ করছে ইমাম সমাজ। ইমাম ও খতিবরা জুমার খুতবায় যেমনি নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত সম্পর্কে আলোচনা করেন।

তেমনি সুদ-ঘুস, দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ সামাজিক অপরাধ সম্পর্কেও জনগণকে সচেতন করে তোলেন। ইমামরা ধর্মীয় ও নৈতিক বিষয়ে নির্দেশনা দেন। তাই কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠনের জন্য ইমামদের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। তারা আরো বলেন, ইমামরা বহু সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাদের প্রাপ্য সব সুবিধা পুঙ্খানুপুঙ্খ দিতে হবে। এর মধ্যে মসজিদভিত্তিক চালু থাকা মক্তব আরো জোরদার করতে হবে। সাইনবোর্ড সর্বস্ব করলে হবে না। সেখানে সত্যিকার অর্থে ইমাম বা আলেমদের দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। এ ছাড়া মুসলিম অধ্যুষিত প্রত্যেকটা গ্রামের স্কুলে ধর্মীয় ও কোরআনের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবিও জানান বক্তারা। আলোচনা সভায় দেশের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব ও আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। 

এবি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চার বছর পর আকাশপথে বিমান চলাচল শুরু করছে ভারত-চীন Oct 02, 2025
img
পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু বাংলাদেশের Oct 02, 2025
img
রাতের মধ্যে ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা Oct 02, 2025
img
টুইটারে ভুয়া একাউন্টের মিথ্যা পোস্টে বিপাকে অভিনেত্রী কায়াদু লোহর Oct 02, 2025
img
শাপলা প্রতীক পেতে আর কোনো আইনি-রাজনৈতিক বাধা নেই : এনসিপি Oct 02, 2025
img
মানুষ তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে আমাদের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ পোষণ করছেন: রাশেদ খাঁন Oct 02, 2025
img
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিলে আপত্তি নেই মান্নার, সারজিসের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন Oct 02, 2025
img
ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমে আলেমদের ঐক্যের বিকল্প নেই : জামায়াত আমির Oct 02, 2025
img
‘হোমবাউন্ড’-এ জাহ্নবীর অভিনয়ে মুগ্ধ কিংবদন্তি নির্মাতা মার্টিন স্করসেসি Oct 02, 2025
img
‘নোয়াখালী বিভাগ চাই’ দাবিতে ফের বিক্ষোভ, নগরে ব্লকেড Oct 02, 2025
img

সুমুদ ফ্লোটিলা

শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত হার মানবেন না, সাহসী বার্তা পাঠালেন রিমা হাসান Oct 02, 2025
img
রাতেই আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ Oct 02, 2025
img
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ Oct 02, 2025
img
প্রবাসীদের ভোটের জন্য নভেম্বরে চালু হচ্ছে বিশেষ অ্যাপ : ইসি সানাউল্লাহ Oct 02, 2025
img
নেতানিয়াহু’র দেশের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করল কলম্বিয়া Oct 02, 2025
img
ত্রাণবহর ফিলিস্তিনিদের কোনো উপকারে আসবে না: ইতালির প্রধানমন্ত্রী Oct 02, 2025
দুর্গাপূজার মাঝেই সোনম কাপুরের আনন্দের মুহূর্ত! Oct 02, 2025
রাজনৈতিক সমীকরণে চাপে পড়ে সরে দাঁড়ালেন তামিম Oct 02, 2025
img
অভিনয় জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছেন সামান্থা! Oct 02, 2025
img
পর্তুগালে প্রথমবার প্রতিমা স্থাপন করে দুর্গাপূজা উদযাপন Oct 02, 2025