পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে সাড়ম্বরে উদযাপন করা হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ‘বাংলাদেশি হিন্দু কমিউনিটি ইন পর্তুগাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে এবারের পূজার আয়োজন ছিল আরো বিস্তৃত ও পরিপূর্ণ। বিগত বছরগুলোতে শুধু ছবি দিয়ে পূজা উদযাপন হলেও এবার প্রথমবারের মতো প্রতিমা স্থাপন করে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবার মা দুর্গা গজে চড়ে এসেছেন এবং যাবেন ‘মানবের’ পিঠে চড়ে— এমনটাই জানিয়েছেন পূজার প্রধান পুরোহিত নন্দন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, ‘এবার মা দুর্গা এসেছেন সুখ, সমৃদ্ধি ও সাফল্যের বার্তা নিয়ে।’
পূজার সার্বিক আয়োজন সম্পর্কে সংগঠনটির সভাপতি সুমন ভৌমিক বলেন, ‘আমরা সবাই বাঙালি, সবাই বাংলাদেশি— হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। পর্তুগালে আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে থাকি।
দুর্গা পূজার পাশাপাশি পর্তুগালে সব পূজা পালনের উদ্যোগ আমরা নেব।’
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অর্জুন কুমার সিংহ জানান, ‘পর্তুগালে আমরা এখন থেকে প্রতিমা দিয়ে পূজা করছি। ভবিষ্যতে একটি স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।’
দুর্গোৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম মাহফুজুর হক, দূতাবাসের তৃতীয় সচিব এস এম গোলাম সরওয়ার, বিশেষ সহকারী সাহাবুদ্দিনসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রনি মোহাম্মদ, কমিউনিটি নেতা রানা তসলিম উদ্দিনসহ প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূত এম মাহফুজুর হক প্রবাসে এমন একটি সফল ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের জন্য আয়োজকদের প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রবাসের মাটিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার আয়োজন সত্যিই অসাধারণ হয়েছে।’
আইকে/টিএ