আ. লীগের ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকার কৌশল : রনি

সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ অথবা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত হওয়া আওয়ামী লীগ— এ দুটো সংগঠনের যে কার্যক্রম এবং এ দুটো সংগঠনকে নিয়ে সাধারণের যে আলোচনা, সেটা কোনো অবস্থাতেই বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। ঘুরে ফিরে আওয়ামী লীগ, ঘুরে ফিরে ছাত্রলীগ, ঘুরে ঘুরে শেখ হাসিনা বারবার শুধু সামনে চলে এসেছে।’

‘দেশে ও দেশের বাইরে সর্বত্রই আওয়ামী লীগ যেভাবে তাদের নিজেদের ঢোল বাজানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং যেভাবে আওয়ামী লীগের লোকজন আন্তর্জাতিক রাজনীতি শুরু করেছে, এটা নিকট অতীতে বাংলাদেশে কেউ করেনি। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, জামায়াত ক্ষমতায় আসবে, ড. ইউনূস ৫০ বছর থাকবে, এটা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লক্ষণ দেখে একেবারে বোঝা যাচ্ছে না।

আর তাদের প্রধান ব্যক্তি শেখ হাসিনা, এখন যেসব কথাবার্তা বলছেন এবং তার আচার আচরণ দেখে মনে হচ্ছে যে, তার বয়স এখন ৩৫-৪০ হয়ে গেছে।’
‘তার যে প্রাণশক্তি, সেই প্রাণশক্তি দেখে মনে হচ্ছে যে তিনি এখনও তরুণী। তার কণ্ঠের যে দৃঢ়তা, এটার মধ্যে কোনো বৃদ্ধ মানুষের লক্ষণ নেই। তিনি ৭৯ বছরে পা দিলেন।

৭৯ বছর বয়সে সাধারণত নারী এবং পুরুষ সকলেরই গলা কাঁপতে থাকে। অথচ তিনি একটি হাঁচি দিচ্ছেন না, একটি কাশি দিচ্ছেন না। তার কণ্ঠ যে পর্যায়ে চলে আসছে মনে হয় যেন কোনো তরুণী রমণী সিংহাসনে বসে কথা বলছেন। এই হলো আওয়ামী লীগের অবস্থা।

তারা এখন বলতে গেলে আওয়ামী লীগ একটা আন্তর্জাতিক দলে পরিণত হয়ে গেছে।’
রনি বলেন, ‘রাজনীতির যে শূন্যতা, সে শূন্যতার মধ্যে আওয়ামী লীগ উপস্থিত না থেকেও তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে; টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত, লন্ডন থেকে বোস্টন পর্যন্ত, বোস্টন থেকে বার্মিংহাম পর্যন্ত, বার্মিংহাম থেকে জেদ্দা, জেদ্দা থেকে উগান্ডা কোথায় নেই আওয়ামী লীগ। সব জায়গাতে ঘোরাফেরা করছে। এই যে আওয়ামী লীগের এই অবস্থা, এই অবস্থাকে ড. ইউনূস ম্যাটিকুলাসলি ব্যবহার করছেন। তিনি এই মুহূর্তে তার যারা সহযোগী, যারা তাকে জিম্মি করতে চাচ্ছেন, যারা তার মাথায় কাঁঠাল ভাঙতে চাচ্ছেন, তিনি ম্যাজিক হিসেবে আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করছেন।

শেখ হাসিনার নাম ব্যবহার করছেন এবং তার মুখ দিয়ে ইতিবাচক হোক নেতিবাচক হোক আওয়ামী লীগের নাম শেখ হাসিনার নাম ওঠা মানেই আওয়ামী লীগের বিজয়। আর আওয়ামী লীগের নাম, শেখ হাসিনার নাম, উচ্চারণ মানে প্রতিপক্ষের কাছে রীতিমতো একটি আতঙ্ক তৈরি হয়ে যাওয়া।’


Share this news on:

সর্বশেষ

img
পিসিবির সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানলেন আজহার আলি Nov 20, 2025
img
আরব আমিরাতে যাচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি ৩ ল্যান্ডিং ক্রাফট Nov 20, 2025
img
১৪ মাস পর লিটনের সেঞ্চুরি, চারশ’র পথে বাংলাদেশ Nov 20, 2025
img
রাহু কেতুতে শালিনীর নতুন রূপ মীনু Nov 20, 2025
img
বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছালো ৩০ দেশের প্রতিযোগী Nov 20, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অতীতের রায় ছিল কলঙ্কিত : আপিল বিভাগ Nov 20, 2025
img
রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, অনলাইনে দেওয়ার পদ্ধতি Nov 20, 2025
img
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ : শ্রম উপদেষ্টা Nov 20, 2025
img
২৫২ কোটি রুপির মাদক চক্রে ওরির নাম Nov 20, 2025
img
তিনটি রাজস্ব আইনের অফিসিয়াল ইংরেজি টেক্সটের গেজেট প্রকাশ Nov 20, 2025
img
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরাতে জাতিসংঘের দ্বারস্থ হওয়ার আহ্বান Nov 20, 2025
img
ঢাকা আসা প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন আতিফ আসলাম Nov 20, 2025
img
শৈত্যপ্রবাহ না আসা পর্যন্ত নভেম্বরজুড়েই চলবে ‘এই শীত, এই গরম’ Nov 20, 2025
img
দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় Nov 20, 2025
img
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ ৪ Nov 20, 2025
img
বাবা আমার সঙ্গেই আছে: নিষাদ হুমায়ূন Nov 20, 2025
img
হোয়াইট হাউসে ডিনারের পর ট্রাম্পকে ‘ধন্যবাদ’ দিলেন রোনালদো Nov 20, 2025
img
মাধুরীর নতুন লুক, গয়না খুলে কয়েদির পোশাকে মাধুরী! Nov 20, 2025
img
পিছিয়ে গেল বিপিএলের নিলাম Nov 20, 2025
img
মালিতে সেনা অভিযানে প্রাণ গেল ৩১ জনের Nov 20, 2025