রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেছেন, ‘দেশে যেন একটা স্থায়ী আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। সরকার জনগণকে জুজুর ভয় দেখাচ্ছে। এই বুঝি আবার শেখ হাসিনা ফিরে আসলেন, কেউ বলছে বিদেশি চাপে এমন কিছু হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কোন বিদেশি? কী ধরনের চাপ?’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শো অনুষ্ঠানে তিনি এসব নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বলা হয়নি কে চাপ দিচ্ছে। মোদির কথায় এমন কিছু নেই, যা থেকে মনে হয় চাপ আসছে। নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান কিংবা মায়ানমার এসব দেশ থেকে এমন কোনো হুমকি আসছে বলে মনে হয় না। তাহলে কারা এই ‘বিদেশি শক্তি’? এটা যদি কেউ বলতে না পারে, তাহলে মানুষকে ভয় দেখানোর মানে কী?’
মাসুদ কামাল বলেন, ‘ড. ইউনূসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনেকের দেখা হয়েছে, ছবি তোলা হয়েছে। কিন্তু যাদের সঙ্গে এইসব সাক্ষাৎ হয়েছে, তারা কেউই বর্তমান বিশ্বনেতা নন। সবাই অবসরপ্রাপ্ত। তাহলে একে কি আন্তর্জাতিক সমর্থন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে? জাতিসংঘ সফরে জনগণের অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কত টাকা খরচ হয়েছে, কোন খাতে কত পারডিয়াম দেওয়া হয়েছে এই হিসাব দেওয়া উচিত।
সেই সঙ্গে জানানো উচিত, এই সফরের প্রকৃত অর্জন কী হয়েছে।’ রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মাসুদ কামাল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসে যদি আপনি সম্মান না পান, তাহলে সেটা বড় প্রশ্ন। রাষ্ট্রপতির চেয়ারটাকে অপমান করে সেটা উপভোগ করা হচ্ছে এক ধরনের বিকৃত আনন্দ। এই বিকৃত আনন্দের মাধ্যমে আপনি সারা বিশ্বের কাছে আমাদের জাতিকে অপমানিত করছেন না তো?’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে মেনে না নিলেও তার দেওয়া নিয়োগ ঠিকই মানা হচ্ছে। এটাই হলো আমাদের রাজনীতির বাস্তবতা।
তিনি বলেন, ‘সরকার ঐকমত্যের কথা বলছেন, কমিশনের কথা বলছেন। কিন্তু বাস্তবায়নের কথা বলছেন না। সংবিধান থাকলে তো সংবিধান অনুযায়ীই চলতে হবে। সংবিধানকে বাতিল করা হয়নি, আবার তা মেনেও চলা হচ্ছে না। তাহলে তো দ্বৈত আচরণ হচ্ছে।’
এসএস/এসএন