সাগরপথে মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন দেশে পাচারের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ে জিম্মি করে রাখা নারী, শিশুসহ ৩৮ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ দল।
টেকনাফের বাহারছড়ার গহিন পাহাড় থেকে উদ্ধার নারী ও শিশু।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। পাচারের জন্য নারী, শিশুসহ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল–এমন খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় আস্তানা থেকে ১৮ জন নারী, ১২ জন পুরুষ ও ৮ জন শিশুকে উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় ২ পাচারকারীকে।
ভুক্তভোগীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পাচারকারীরা মুক্তিপণ আদায় এবং পাচারের উদ্দেশ্যে তাদের বন্দি রেখে নির্যাতন করছিল।
এর আগে ২ অক্টোবর বাহারছড়া ইউনিয়নের করাচিপাড়া ঘাটসংলগ্ন এলাকা থেকে ২১ জন নারী ও শিশুকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। ১ অক্টোবর বাহারছড়ার জুম্মাপাড়া পাহাড়সংলগ্ন এলাকা থেকে আটজন নারী ও শিশুকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে একই এলাকার পাহাড় থেকে তিন দালালসহ তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর কচ্ছপিয়া এলাকার পাহাড় থেকে পাঁচ অপহৃতকে উদ্ধার এবং দুই মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়। এর আগের দিন র্যাব ও বিজিবি অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তিন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার ও ৮৪ জনকে উদ্ধার করে। ১৮ সেপ্টেম্বর কোস্টগার্ড ৬৬ জনকে উদ্ধার করে। ১৬ সেপ্টেম্বর বিজিবি ১২ পাচারকারীকে আটক ও ১১ জনকে উদ্ধার করে।
মানব পাচারসহ যে কোনো অবৈধ কার্যকলাপ রোধে কোস্টগার্ড এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
আইকে/ টিকে