বিশ্ব ক্রিকেটে মারুফার আবির্ভাব অনেক আগেই। তবে এবার রীতিমতো বনে গেলেন গ্লোবাল স্টার। পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র দু’ডেলিভারিতে বিশ্ব ক্রিকেটের নজরে তরুণী এই পেসার। তার দৃষ্টিনন্দন ইনসুইংয়ে মুগ্ধ লঙ্কান গ্রেট লাসিথ মালিঙ্গা। প্রসংশা ঝরেছে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজের কণ্ঠেও।
মাত্র দুটো ডেলিভারি। তাতেই লোকাল স্টার থেকে রীতিমতো বনে গেলেন গ্লোবাল স্টার। ক্রিকেট বিশ্বের চর্চায় এখন বাংলাদেশের মারুফা আক্তার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে নীলফামারির এই তরুণীর দৃষ্টিনন্দন ইনসুইং শুধু প্রতিপক্ষের স্ট্যাম্পই ভাঙ্গেনি, নজর কেড়েছে কিংবদন্তিরও। লঙ্কান গ্রেট লাসিথ মালিঙ্গার চোখে, সিদরা আমিনকে করা মারুফার সেই বল চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সেরা ডেলিভারি।
প্রথম ওভারে মারুফার ব্যাক টু ব্যাক উইকেটই মূলত গড়ে দেয় ম্যাচের গতিপথ। ভেঙে দেয় প্রতিপক্ষের মনোবল। মাইক্রোফোন হাতে মারুফার প্রসংশা ঝরেছে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজের কণ্ঠে। তাই তো সতীর্থ স্বপ্না তিন মেইডেন আর ৩ উইকেট নিলেও, ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠেছে টাইগ্রেস পেসারের হাতে।
মাত্র তিন বছরের ক্যারিয়ারেই বল হাতে মারুফার এমন মুন্সিয়ানায় মুগ্ধ অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেন, আমি বলেছিলাম, পাওয়ার প্লেতে আমাদের উইকেট লাগবে। আর মারুফা তাই করে দেখিয়েছে। অল্প বয়সের হলেও ও দারুণ পরিণত, শক্তিশালী আর আত্মবিশ্বাসীও। ভালো করেই জানে, ওকে কি করতে হবে।
গেলো টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এমন ম্যাজিক ডেলিভারিতে উইকেট নিয়েছিলেন মারুফা। তবে এবারেরটা স্পেশাল তার কাছেও। ম্যাচের আগে মায়ের কাছ থেকে দোয়া নিয়েছিলেন যা তাকে আরও অনুপ্রাণিত করে।
জীবন যে ব্ড্ড নাটকীয়, তার উদারহরণই যেনো মারুফা। কয়েক বছর আগেও গ্রামে বাবার কৃষি কাজে ব্যস্ত ছিলো যার হাত। বল নিয়ে তার কারুকার্যই এখন ক্রিকেট বিশ্বের আলোচনার খোরাক।
আইকে/টিএ