কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোটারদের নিয়ে গেম খেলা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। আজ রবিবার মাসুদ কামাল সঞ্চালিত অন্য মঞ্চের আলাপচারিতা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক আছে যারা আওয়ামী লীগের ভোটার বা আওয়ামী লীগের নৌকা বার্তা থাকলে তারা নৌকায় ভোট দেবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্ব তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে দেশের ভেতরে অনেক লুটতরাজ, গুম-খুন অনেক কিছু করছে।
তারা বেসিক্যালি অপরাধী। তারা ক্রিমিনাল। তাদেরকে আওয়ামী লীগ হিসেবে দেখলে হবে না। এই ক্রিমিনালদেরকে আপনি বিচারের আওতায় আনেন এবং শাস্তি প্রদান করেন।
তাহলে তো কোনো অসুবিধা নাই। আওয়ামী লীগের যারা সাধারণ ফলোয়ার যারা সাধারণ কর্মী বা সাধারণ সাপোর্টার তাদের ভোটাধিকার আপনি নিয়ে যেতে পারেন না।
তিনি বলেন, এখানে একটা গেম খেলা চলছে। আওয়ামী লীগকে যদি ব্যান করা যায় তাহলে আওয়ামী লীগের ভোটারদেরকে কোনো না কোনোভাবে প্রলুব্ধ করে নেওয়া যাবে।
জামায়াত নিতে পারে এই বলে যে তোমাদেরকে প্রটেকশন দেওয়া হবে। তোমাদেরকে আমরা উপজেলার নির্বাচনে সহায়তা করব। জাতীয় পার্টিও করতে পারে এমনকি বিএনপিও করতে পারে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের যে ভোটার আছে তাদেরকে প্রলুব্ধ করে ভয় দেখিয়ে অথবা ভোটকেন্দ্রে আসতে না দিয়ে তারা তাদের মতো করে নির্বাচন করতে চায়। এ নির্বাচনটা ইনক্লুসিভ হবে না।
তিনি আরো বলেন, এখানে আওয়ামী লীগের যারা অপরাধী না তাদের তো ভোটাধিকার আছে। তাকে আপনি ভোট দিতে দিবেন না কেন? দিতে হবে। কিন্তু অপরাধী যারা, যারা গ্রাম-গঞ্জে অনেক লুটপাট করছে, অনেক জমি দখল করছে, খুন করছে, সেসব লোককে কিন্তু আপনারা ধরছেন না। এই সরকার ধরছে না। কোনো ট্রাইব্যুনাল করছে না। তারা তো আলো আধারীর মতো করে আছে। এভাবে তো চলে না। ক্লিয়ারকাট থাকতে হবে এবং ইনক্লুসিভ হতে হবে। যদি ভোটারকে তাদের পছন্দের ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয় তাহলে সেটা তো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের সমর্থক তাদেরকে যদি আপনি বলেন, শিবিরে ভোট জামাতে ভোট দাও। কিংবা জাতীয় পার্টিতে ভোট দাও। আপনি তাকে বলছেন, তুমি তো ভোট দিতে পারো। তুমি তো ভোট দিতে পারো। এই ওই পার্টি যেকোনো পার্টিতে ভোট দিয়ে আসো। এগুলো হচ্ছে চালাকি। এক ধরনের ফাইজলামি। যে লোক যে দলকে ভোট দিতে চায় তাকে সেই ভোটটা দেওয়ার জন্য নিশ্চিত ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা এরা পারবে না।
এট সেইম টাইম আওয়ামী লীগের যারা কালপ্রিট যারা এই অন্যায়-অবিচার এসব করছে, তাদেরকে এরা কোনো শাস্তি দিতে পারতেছে না। তারা যারা বিদেশে পালায় গেছে তাদের নিয়া হৈ চৈ লম্ফ করে দেশের মধ্যে যেসব লোকজন আছে তাদেরকে এরা ধরতেছে না। না ধইরা জাতির সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। যে ছেলে-মেয়েগুলো মারা গেছে তাদের আত্মার সাথে এরা প্রতারণা করতেছে। যে ছেলেগুলো আহত হয়েছে, চোখ হারাইছে, পা হারাইছে, তাদের সাথে এরা একটা নিষ্ঠুর প্রতারণা করে গেল।
আইকে/টিকে