ব্যাট হাতে সাইফ হাসানের ঝড়ো ফিফটিতে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় এবং সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারাল টাইগাররা। দারুণ এই জয়ের ফলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে জাকের আলি অনিকের দল।
৭ বছর আগে ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার বাজে অভিজ্ঞতা তাড়া করছিল বাংলাদেশকে।
এবার সেই পুরোনো হিসাব চুকাল দলটি।
এই শারজাতেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। আজ হ্যাটট্রিক জয়ের লক্ষ্যে নেমে ম্যাচের শুরুটাও দারুণ করে টাইগাররা।
এদিকে ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ধীরস্থির।
ওপেনার পারভেজ হোসেন ১৪ রানে আউট হলেও অপরপ্রান্তে আক্রমণাত্মক ছিলেন তানজিদ হাসান ও সাইফ হাসান। পাওয়ারপ্লেতে সাইফের ছক্কায় ম্যাচের গতি বাড়ে। তানজিদ ৩৩ রান করে আউট হওয়ার পর জাকের আলী ও সাইফ দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান।
ইনিংসের শেষদিকে সাইফের ব্যাটে আসে ফিফটি, যেটি তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক।
আহমেদজাইয়ের ওভারে একাই নেন ১৫ রান, যার একটি ছক্কা গ্যালারির ছাদে গিয়ে পড়ে, সেই ছক্কাই তাকে নিয়ে যায় ৫০ রানের মাইলফলকে। শেষদিকে নুরুল হাসানের ছক্কায় সহজ জয় পায় বাংলাদেশ।
এর আগে খেলার শুরুতে দলীয় ৩৯ রানে আফগানদের ৩ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা। চতুর্থ উইকেটে ধাক্কাটা সামলানোর চেষ্টা করেন ডারউইশ রাসুলি ও সেদিকউল্লাহ আতাল। ৩৪ রানের জুটি গড়ে।
কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া আফগানদের বেশিক্ষণ লড়াইয়ে রাখতে পারেননি রাসুলি ও সেদিকউল্লাহ।
ব্যক্তিগত ২৮ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে সেদিকউল্লাহ আউট হলে তাদের জুটিটা যায় ভেঙে। এরপর মুহূর্তে আফগানদের স্কোরবোর্ড দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ৯৮ রান। এতে করে আফগানরা ১২০ রান করতে পারবে কি না সেই শঙ্কা উঁকি মারে। তবে শেষ দিকে ৩৪ রানের জুটি গড়ে দলকে ৯ উইকেটে ১৪৩ রানের সংগ্রহ এনে দেন রাসুলি-মুজিব উর রহমান। বিশেষ করে শেষ দিকে যদি ৩ চারে ২১ রান না করতেন মুজিব।
অন্যদিকে অ্যাংকরের ভূমিকা পালন করা রাসুলি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন।
আগের দুই ম্যাচে ১৫১ ও ১৪৭ রান করা আফগানদের আজ অল্পতে আটকাতে দারুণ বোলিং করেছেন সাইফউদ্দিন। ১৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
পিএ/টিকে