সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, ‘বিএনপির ফাঁকা মাঠে তৎপর জামায়াত। ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দলও হাত গুটিয়ে বসে আছে। বিএনপির কাছে এখন কোন বিষয়টা প্রাথমিক তা আমি বুঝতে পারছি না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতিসংঘে গিয়েছিলেন সেখানে কী ফল হলো তা স্পষ্ট হয়নি।
বর্তমানে তিনি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন-জাতিসংঘের সঙ্গে এটি কি জরুরি বৈঠক নাকি দলের নির্বাচনী প্রার্থী মনোনয়ন ও কৌশল বাছাই বিষয়ক? তবে জামায়াতের কাছে এখন এই বিষয়গুলোই প্রাথমিক। তারা কৌশল নির্ধারণ করছে, প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং ঘরে ঘরে যাচ্ছেন।’
রবিবার (৫ অক্টোবর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মোস্তফা ফিরোজ এসব কথা বলেন।
মোস্তফা ফিরোজ বলেন, “বিএনপি মাঠে না নেমে গুলশানে বসে বসে বৈঠক করছে।
জাতিসংঘ কি বিএনপিকে চাপ দিচ্ছে নাকি ‘তোমরা মেনে নাও-আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে’ বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এই মুহূর্তে জাতিসংঘ বা ইউরোপের কোনো দেশের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক করার অর্থও আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।”
তিনি বলেন, ‘সব ঠিক থাকলে শিগগিরই তফসিল ঘোষণা হতে পারে। ভোটের দেরি থাকলেও নির্বাচনী কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যেই শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো।
রাজনীতির মাঠে কিছুটা উত্তাপও ছড়িয়েছে এবং নেতারা তৃণমূল পর্যায়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন। জামায়াতে ইসলামী সংসদীয় সব এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থী ঠিক করেছে এবং এ নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই। স্থানীয় স্তরে মূল দল, ছাত্রসংগঠন, নারীসংগঠন ও সহযোগী শাখাগুলো নির্বাচন ঘিরে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। কেন্দ্রীয়ভাবে দলটি প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।’
মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘আরো কিছু দল ইতোমধ্যেই নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তবে নেতাকর্মীরা বলছেন, সিদ্ধান্ত হলেও তারা এখনো ব্যাপকভাবে ভোটের মাঠে কার্যক্রম শুরু করেনি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘দল নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই আছে এবং প্রতিটি নেতাকর্মী নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়। তবে দেশের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে প্রতিটি আসনের জন্য একাধিক যোগ্য প্রার্থীর মধ্যে একজন বাছাই করতে কিছুটা সময় লাগছে। তিনি আশা করছেন, এটি শিগগিরই সমাধান হবে এবং প্রার্থী ঘোষণা করলে সব সমস্যা দূর হবে।’
অন্যদিকে জামায়াত খুব পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনী মাঠে নামছে। বিএনপি এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। জামায়াতের জন্য প্রার্থী ঠিক করা তুলনামূলক সহজ হলেও বিএনপির জন্য কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। এক দিন পিছিয়ে মানে এক দিনে কার্যক্রমে বিলম্ব, যা তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হতাশ করছে। কেন্দ্রীয়ভাবে এসব বৈঠক হচ্ছে কি না তা স্পষ্ট নয় তবে সময় ব্যয় করলে বিএনপি পিছিয়ে যাবে-এটাই নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রধান উদ্বেগ।’
পিএ/টিকে