কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের গোপন জামিনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শেরপুর। তার জামিনের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অচল হয়ে পড়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা শহরের ডিসি গেট অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় আহত জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, চন্দন কুমার পালের জামিন ইস্যুতে তাদের আট দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
দুপুরের দিকে তারা জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিখিতভাবে তাদের দাবি জানান। জেলা প্রশাসক জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তা দ্রুত সরকারের কাছে পাঠানো হবে এবং আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি তিনি সমর্থন জানান।
এদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় দুপুর পর্যন্ত ওই এলাকায় সব প্রশাসনিক ও বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের পর অবরোধ তুলে নেয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে, সরকার পতনের পর আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে হত্যাসহ সাতটি মামলা হয়। ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর ভারতে পালানোর চেষ্টার সময় বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। প্রায় এক বছর কারাভোগের পর চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে সব মামলায় জামিন পান, তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় ফের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর শেরপুর আদালত থেকে জামিন পেয়ে মুক্তি পান এবং এলাকা ত্যাগ করেন।
চন্দনের জামিনের বিষয়টি প্রকাশ পেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ও রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধেও সমালোচনা শুরু হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘটনাকে অপপ্রচার বলে দাবি করেন।
এবি/টিকে