সেফ এক্সিটের তালিকা করলে সবার উপরে থাকবে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নাম। সম্প্রতি একটি টকশোতে হাজির হয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল। তার মতে, আসিফ মাহমুদ যেখানে যান সেখানেই বিতর্ক তৈরি করেন।
মাসুদ কামাল বলেন, ‘দুই দিন আগে বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানেও সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এই লোকের ঝামেলার শেষ নাই। এত ছোট বয়সে এত বড় বড় দায়িত্ব দেওয়ার ফলে সে যে কি পরিমাণ বিতর্ক সৃষ্টি করেছে তা ভাবাই যায় না। আসিফ মাহমুদ যেখানে হাত দিয়েছে সেখানেই বিতর্ক।
যদি অন্তর্বর্তী সরকারের মিনিমাম সেন্স থাকত তাহলে আসিফ মাহমুদকে সবার আগেই বিদায় করত। এর পুরো দায় কিন্তু সরকারের ওপরই বর্তাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এলজিডি উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ মাহমুদ নিজের প্রভাব খাটিয়ে নিজ এলাকায় বিপুল পরিমাণ উন্নয়ন বরাদ্দ নিয়েছেন -যা অন্তত ১০টি জেলার মধ্যে কোনো জেলাই পাননি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নিজ এলাকার আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আর সেই কারণেই এত বেশি বরাদ্দ দিয়ে তিনি স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এই ধরনের কর্মকাণ্ডই দেখায় -এমন অনেক উপদেষ্টার ভবিষ্যতে ‘সেফ এক্সিট’-এর প্রয়োজন হবে। কারণ, যখন নির্বাচনে জামানত হারাবেন তখন তারা কোথায় যাবেন? তখনই হয়তো ‘সেফ এক্সিট’-এর পথ খুঁজবেন। আগেভাগেই বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করে রাখার চেষ্টা করবেন।’
তিনি আরো বলেন, শুধু আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধেই যে এ ধরনের অভিযোগ উঠবে তা নয় ‘সেফ এক্সিট’-এর আলোচনা আরো অনেক উপদেষ্টাকে ঘিরেও হবে।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দুর্নীতি, অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে।
পিএ/টিকে