প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশের টেলিভিশন লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে অনেকেই সুবিধা পেয়েছেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘নতুন দুটি টেলিভিশন চ্যানেলকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্টকে আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারি। টেলিভিশনের মালিক কারা, তা নিয়ে জনগণের আগ্রহ স্বাভাবিক।
উপ-প্রেস সচিব আরও উল্লেখ করেন, দেশের আগে ৫০টি টেলিভিশন চ্যানেলকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বর্তমানে ৩৬টি কার্যক্রমে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই চ্যানেলগুলোর মালিকদের মধ্যে সৈনিক লীগের সভাপতি, মুরগি ফার্মের মালিক, সরকারি দলের সংসদ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও আছেন। মূলত রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করেই অনেক লাইসেন্স পাওয়া হয়েছে।’
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আশা প্রকাশ করেন, ‘গণমাধ্যম তাদের স্বাধীনতা ব্যবহার করে নিয়ম ভঙ্গ বা অতীতে রিপোর্ট করা হয়নি এমন বিষয়ও জনগণের কাছে তুলে ধরবে।
এটি সমাজে স্বচ্ছতার জন্য জরুরি।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকার দুটি নতুন বেসরকারি চ্যানেল ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’-এর অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে নেক্সট টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন, আর লাইভ টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন আরিফুর রহমান নামের আরেক ব্যক্তি, যিনি ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন।
এবি/টিকে